খুলনা | শুক্রবার | ১৬ মে ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চাঁদা দাবির অভিযোগ

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাসহ নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা, কারাগারে ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫১ এ.এম | ১৬ মে ২০২৫


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) নেতা পরিচয়ে চাঁদা নিতে গিয়ে পুলিশের কাছে আটক হলেন আট যুবক। বুধবার রাত ১০টার দিকে নগরীর খালিশপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাস্তুহারা কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই এলাকার বাসিন্দা বাপ্পির কাছে চাঁদা নিতে গিয়ে তারা স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়েন। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী বাপ্পী সরকার বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে তোলা হয় গতকাল। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণে আদেশ দেন আদালত।
স্থানীয়রা জানান, খুলনার দুর্বার সংঘ ক্লাব এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে রায়হান নিজেকে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নগর যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আরও ৯ জন যুবকসহ রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাস্তুহারা কলোনির ২ নম্বর রোডের বাসিন্দা বাপ্পির বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় রায়হানসহ উপস্থিত আরও কয়েকজন যুবক তাকে পতিত সরকারের দোসর বলে দাবি করেন। তারা বাপ্পির কাছে তিন লাখ টাকা চান। টাকা না দিলে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও বাপ্পিকে তারা হুমকি দেন। এলাকাবাসী এ ঘটনা জানতে পেরে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় রায়হানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন যুবক পালিয়ে গেলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রায়হানসহ আটজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রায়হান নিজেকে নগর  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-সম্পাদক পরিচয় দিলে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের ডেকে আনা হয়। তখন তারা তাকে চেনেন না বলে উপস্থিত জনগণকে জানান।
বৃহস্পতিবার কে এমপি প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃতরা হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর শাখার যুগ্ম-আহবায়ক রায়হান (২৫), নগরীর রায়ের মহল এলাকার এস এম শামাউন ইশমাম (২২), সোহেল শেখ (২৩), শেখ সাজ্জাদ (২০), রায়ের মহল পশ্চিমপাড়ার নাঈমুর রহমান (২১), রায়ের মহল উত্তরপাড়ার শেখ রাকিবুল ইসলাম (২৩), মোহিদুল ইসলাম রাজন (২৩) ও রায়ের মহল উত্তরপাড়ার তৌহিদুল ইসলাম শাওন (২২)। মামলার অপর আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর শাখার নির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান টিপু পলাতক রয়েছে।
খালিশপুর থানার এসআই সোবহান বলেন, রাতে বাস্তুহারা কলোনির ২ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে গন্ডগোল হয়েছে জানতে পেরে, সেখানে যান তিনি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আটজনকে থানায় নিয়ে যান। এখন অভিযোগকারী মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

্রিন্ট

আরও সংবদ