খুলনা | শনিবার | ১৭ মে ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কয়রায় বাঁশ দিয়ে গাইড ওয়াল ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

কয়রা প্রতিনিধি |
১১:৪৭ পি.এম | ১৬ মে ২০২৫


খুলনার কয়রায় বাঁশ দিয়ে গাইড ওয়াল ও ফিনিসিং এর নামে ২/৩নং ইটের ডাস্ট খোয়া ব্যবহার করে চলছে রাস্তার নির্মাণ কাজ। মেসার্স তাবাসসুম ট্রেডার্স নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় এমন নিম্নমানের কাজ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী ।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কয়রা ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে থানা অভিমুখী ডাকবাংলো পর্যন্ত ৪৮০ মিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য ৫৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া  হয়। রাস্তায় গাইড ওয়াল রয়েছে  ৪৩৪ মিটার। কাজটি শুরু হয় গত বছরের শেষের দিকে আর শেষ হবে চলতি বছরের ৩০ জুন । মেসার্স তাবাসুম ট্রেডার্স নামে ডুমুরিয়ার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছেন। 
সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার কয়েক স্থানে বাঁশ আবার কয়েক স্থানে ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে গাইড ওয়াল দেয়া হয়েছে। নির্মানাধীন রাস্তার সোল্ডার ও প্লাসাইডিং এ মাটি নেই। রাস্তার বিভিন্ন অংশে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও লবণ পানি দিয়ে রুলার করে কার্পেটিং করার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি কাজটি মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে কিনে নিয়ে করছেন পাইকগাছার আব্দুস সামাদ। তাকে অনিয়মে সহযোগিতা করছেনে সহকারি প্রকৌশলী আফজাল হোসেন। 
স্থানীয় বাসিন্দা আবু মুছা গাজি, নজরুল ইসলাম, মারুফ বিল­াহসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকের সামনেই বাঁশ দিয়ে গাইড, নিম্ন মানের বালু ও খোয়া দিয়ে দায়সারা গোছের রাস্তার কাজ করলেও অজ্ঞাত কারণে তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।  
ইউসুফ গাজি বলেন রাস্তার দুই পাশে কয়েকটি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে, সেটা মেরামত না করেই চলছে নির্মাণ কাজ। তিনি আরও বলেন ভাঙন কবলিত স্থানে মাটি ভরাট না করেই রাস্তার উপর খোয়া বিছিয়ে রোলার দিয়ে সমান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এখন বেশাখ মাস, ঝড় বৃষ্টির মৌসুম। সামান্য বৃষ্টিতে এই রাস্তার বাকি অংশ ধসে পড়ার আশংকা আছে কিন্তু এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও কোন কিছু তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো কাজ চালাচ্ছেন ঠিকাদার ।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স তাবাসসুম ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী প্রিন্স-এর সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দায়িত্বে থাকা আব্দুস সামাদ কাজটি ক্রয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন আমার শ্যালোকের লাইসেন্সে আমি করছি। সিডিউল অনযুয়ী কাজ করা হচ্ছে। যতটুকু গাইড ওয়াল ধরা আছে ততটুকু দেয়া হয়েছে। নিম্নমানের  খোয়ার ব্যাপারে বলেন ফিনিসিং করতে সামান্য কিছু খারাপ মানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কাজ সমাপ্তের আগে সকল সমস্যা সমাধান করে দেয়া হবে।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, রাস্তার কাজে কোনো সমস্যা নেই, সবকিছু নিয়ম মাফিক ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে। যারা নিম্নমানের বলছেন তারা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলেছেন। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ