খুলনা-বরিশাল বিভাগের নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ খুলনা ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুলনার ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ ময়দানে সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তরুণদের রাজনৈতিক ভাবনা তুলে ধরতে খুলনায় ছাত্র-যুব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দু’টি কর্মসূচি শুক্রবার প্রথমে দিনে খুলনা প্রেসক্লাব ব্যাংকুয়েট হলে সেমিনার  শেষ হয়েছিল।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল­াল হোসেন তারেকসহ স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
গত ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, বাকস্বাধীনতা ফিরে পাওয়ার জন্য, হারানো গণতন্ত্রকে পুনঃরুদ্ধারের জন্য এবং একটি দৃশ্যমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এ সমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। দেশের জনসংখ্যার বড় অংশই তরুণ। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিলেন এই তরুণেরা। দেশের নানাবিধ কাজে আমরা এখনও পুরোপুরিভাবে তরুণদের যুক্ত করা যায়নি। বিএনপি তরুণদের মেধা, জ্ঞান এবং তাদের স্বপ্নকে ধারণ করতে চায়। পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তরুণদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চায়। 
মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন জানান, তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ দেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির এক যুগান্তকারী কর্মসূচি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই আয়োজন একটি মাইলফলক। এই কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অভিনব নেতৃত্ব এবং নির্দেশনার উজ্জ্বল স্মারক। সমাবেশে আড়াই থেকে তিন লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সমাবেশ স্থলে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সাউন্ড সিস্টেম আনা হয়েছে রাজধানী ঢাকা থেকে। সমাবেশ স্থলের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপশি দলের হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবেন। মঞ্চর তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। নগরীর জিয়া হল চত্বর (শিববাড়ি মোড়) সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও নগরবাসির দুর্ভোগ লাঘবে জিয়াহল চত্বর থেকে সমাবেশস্থল সাকির্ট হাউজ ময়দানে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে তিডিন জানিয়েছেন।
মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের তিন লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর জমায়েত হবে। এটিই হবেই খুলনায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। এ সমাবেশ থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের দীপ্ত প্রতিজ্ঞা নেবেন তরুণ নেতাকর্মীরা।
খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, খুলনা জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে এ সমাবেশে। তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকারের এ সমাবেশ সর্বাত্মক সফলে যথাযথ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তীব্র তাপদহের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।