খুলনা | রবিবার | ১৮ মে ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
০১:৫৮ এ.এম | ১৮ মে ২০২৫


যশোরে হক কোচিং সেন্টারে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আর এ অপকর্মটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও শিক্ষক এমদাদ হোসেন। এ ঘটনায় শনিবার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ও কোচিং সেন্টারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
পুলিশ ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, গত ১২ মে দুপুরে কোচিং চলাকালে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে শিক্ষক এমদাদ ছাত্রীটিকে জড়িয়ে ধরেন। ঘটনার শিকার শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মা-বাবাকে জানালে, তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে ছাত্রীর মা-বাবা ও স্থানীয় আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন অভিভাবক হক কোচিং সেন্টারে গিয়ে এমদাদ হোসেনের ওপর চড়াও হন। তাঁরা তাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করার চেষ্টা করলে কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা তাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের আরও অভিভাবক এবং স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে যান। কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর যশোর জেলা আহŸায়ক রাশেদ খান উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তার মধ্যস্থতায় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও কোচিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি আপাতত মীমাংসা করা হয়।
তবে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসা হলেও অনেক অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিক এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কোচিং সেন্টারে শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহŸান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ