খুলনা | সোমবার | ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যশোর আদালত থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
১২:২২ এ.এম | ১৯ মে ২০২৫


যশোরে আদালত চত্বর থেকে হাতকড়া খুলে হত্যা মামলার এক আসামি পালানোর ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া জুয়েল খান (২০) মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।
তিনি যশোরের বাঘারপাড়া থানার ইজিবাইকচালক আল-আমিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। হাজিরা শেষে আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার পথে হাতকড়া খুলে তিনি পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যশোর আদালত সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, জুয়েল খান ও তার সহযোগীরা মাগুরার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক আল-আমিনকে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে ভাড়া করে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে হত্যা করে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে আটক করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন। পরে তাদেরকে বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে জুয়েল কারাগারে ছিলেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, রোববার আল-আমিন হত্যা মামলা শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। এ দিন সকালে জুয়েল ও আরেক আসামি হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন নারী পুলিশ কনস্টেবল সোনালী তাদের দু’জনকে হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিচতলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে হাতকড়া খুলে জুয়েল খান পালিয়ে যায়। পরে কনস্টেবল সোনালী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাকে তাড়া করে।  
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসামি পলাতকের খবর শুনে তারা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে দৌড়ে আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের পাশ দিয়ে খড়কির দিকে চলে যায়।
এদিকে, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে আসেন। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে খুঁজতে অভিযান শুরু করেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি জুয়েলকে গ্রেফতারে গোটা জেলায় অভিযান শুরু হয়েছে। জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্পে তথ্য দিয়ে তাদেরকে তৎপরতা শুরু করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও বার্তা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে যাতে পালাতে না পারে সেই ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও উলে­খ করেন, এ ঘটনায় পুলিশের সংশ্লিষ্টদের কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ