খুলনা | সোমবার | ১৯ মে ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

২৭ থেকে ৩০ মে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা

খবর প্রতিবেদন |
০১:২৮ পি.এম | ১৯ মে ২০২৫


চলতি মাসের ২৭ থেকে ৩০ মের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ থেকে ৩০ মের মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

সোমবার (১৯ মে) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, মে মাসের ২৭ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ থেকে ৩০ মের মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

জেলেদের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলারকে ২৬ মের মধ্যে নিরাপদে উপকূলে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

এর আগে, এক ফেসবুক পোস্টে মোস্তফা কামাল পলাশ লেখেন, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিলাম ১১ মে (প্রথম পূর্বাভাস) ও ১৪ মে (দ্বিতীয় পূর্বাভাস)। ২য় পূর্বাভাসে উল্লেখ করেছিলাম যে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এর নাম দেওয়া হবে শক্তি।

আজ ১৯ মে (বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা) তৃতীয় পূর্বাভাসের মাধ্যমে পূর্বের দুইটি পূর্বাভাসের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করছি। অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে মে মাসের ২৭ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোন স্থানের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, একই সপ্তাহে আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা আছে। আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে ও বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি পরে সৃষ্টি হবে।  বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক অফিসের প্রস্তুত করা নামের লিস্টের পরবর্তী দুইটি নাম হলো শক্তি (Shakhti) ও মন্থা (Mon-Tha)।

ফলে, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের মধ্যে যে সাগরে ২০২৫ সালের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবে তার নাম হবে শক্তি (Shakhti) ও দ্বিতীয়টির নাম হবে মন্থা (Mon-Tha)। শক্তি (Shakhti) নামটি শ্রীলংকার দেওয়া এবং মন্থা (Mon-Tha) নামটি থাইল্যান্ডের।

পলাশ আরও লেখেন, বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে সেটি কোন উপকূলে আঘাত হানবে এবং কতটা শক্তিশালী হবে তা নির্ভর করছে আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে তার ওপরে।  বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে তার দুয়েকদিন আগেই যদি আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড়টি শেষ হয়ে যায় তবে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়টি ২৯ থেকে ৩০ মের মধ্যে উপকূলে আঘাত করার সম্ভাবনা বেশি। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোন স্থানের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বলেও তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ