খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২২ মে ২০২৫ | ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আছিয়া হত্যা মামলার রায়

নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন

|
১২:৪৩ এ.এম | ২০ মে ২০২৫


মাগুরার চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। শনিবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। লক্ষণীয়, ঘটনার মাত্র ২ মাস ১১ দিনের মাথায় এ মামলার রায় হয়েছে। আর অভিযোগ গঠন বা বিচার শুরুর ২১ দিনের মাথায় আলোচিত এ মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করা হয়। দ্রুততর সময়ের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হওয়ার বিষয়টি প্রশংসনীয়। আশা করা যায়, এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন হলে এবং প্রকৃত অপরাধীর আইনানুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত হলে সমাজে এমন ঘটনা অনেক কমে আসবে।
উলে­খ্য, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় শিশুটিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই গত ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া এই শিক্ষার্থী। ধর্ষণের ঘটনায় আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাদের উপস্থিতিতেই চলেছে বিচারিক কার্যক্রম। যদিও এ রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে আছিয়ার পরিবার। তারা উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
দেশে আছিয়ার মতো শত শত শিশু ও নারী প্রতিনিয়ত ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সেসব ঘটনার কমই গণমাধ্যমে আসে। ফলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত হয় না। আমরা চাই এ ধরনের প্রতিটি ঘটনাই বিচারের আওতায় আসুক এবং দ্রুত বিচার হোক। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে তৎপর হতে হবে। শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যার ঘটনাটি এক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে। পাশাপাশি নারীর নিরাপত্তায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিও জরুরি। নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনও প্রয়োজন। নারী নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ