অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইশরাক হোসেন লিখেন, ‘মেয়র ফেওর কিছু না। অন্তর্বর্তী সরকারের কতিপয় ব্যক্তির অন্তরে ক্ষমতার লোভ ও এটি চিরস্থায়ী করার কুৎসিত সত্যটা বের করে আনাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। অনেক সমালোচনা মাথা পেতে নিয়েছি, পিতা-মাতা তুলে গালিগালাজ চুপ করে সহ্য করে গিয়েছি। কারণ একটাই, এদের চেহারা উন্মোচন করতে হবে গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের ভোটাধিকারের স্বার্থে। সর্বশক্তি দিয়ে এরা ঢাকায় বিএনপি’র মেয়র আটকানোর চেষ্টার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে তা ক্লিন কাট বুঝিয়ে দিলো।’
তিনি আরও লিখেন, ‘কোনো কথা চলবে না, যারা নিরপেক্ষতা শুধু বিসর্জন দিয়েছে নয়, বরঞ্চ একটি দলের প্রতিনিধির কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এরা হাসিনার মতোই বিচারকদের হুমকি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছে। উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং আমলাতন্ত্র হাসিনার দোসরদের সঙ্গে নিয়ে লম্বা কুচক্র পরিকল্পনা করছে। একদিন এদের সবার নাম পরিচয় প্রকাশ পাবে।’
দাবি আদায়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই বিএনপি নেতা আরও লিখেন, ‘হাসিনারেও (সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী) বলছিলাম-কবরটা ঠিক করাই আছে। আল­াহর হুকুম থাকলে সেখানেই হবে ইনশাআল­াহ। লড়াই শেষ হয় নাই। হয় দাবি আদায় করবো, না হয় আল­াহর নির্ধারিত স্থানে মাটির নিচে শায়িত হব। গণতন্ত্রের সঙ্গে, জনগণের ভোটাধিকারের সঙ্গে এক চুল ছাড় হবে না।’
উলে­খ্য, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম-জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই প্রেক্ষিতে পঞ্চম দিনের মতো ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিসি’র মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তার সমর্থকরা। বর্তমানে নগর ভবন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।