খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিন এ আদেশ দেন। 
এর আগে দুপুরে সাবেক কাউন্সিলর পিন্টু খালিশপুর থানা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় করা মামলায় আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেল ৪টা-৫টার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র, হকিস্টিক, রামদা, লোহার রড এবং লাঠি নিয়ে আসামি সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামালের নির্দেশে ওই দিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিএনপি অফিস লক্ষ্য বেশ কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। পরে পিস্তল দিয়ে গুলি করতে থাকে। বোমা এবং গুলির বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ভীত হয়ে দৌড়ে পালাতে থাকে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ নিউজপ্রিন্ট সংলগ্ন খালিশপুর থানা বিএনপি’র অফিসের ভেতর প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। পরবর্তীতে তারা অফিসের দপ্তরে রাখা নগদ ১২ হাজার টাকা এবং মূল্যবান কাগজপত্র লুট করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখি বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টু ৬২নং আসামি।
অপর দিকে একই থানা এলাকার বাইতিপাড়া বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে প্রধান আসামি করে খালিশপুর থানায় একটি মামলা করেন ইলিয়াস হোসেন।  
আদালত সূত্র আরও জানায়, বুধবার দুপুরে তিনি আত্মসমর্পণের জন্য আদালত চত্বরে আসেন। দুপুরে তিনি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর অদেশ দেন।