খুলনা | রবিবার | ০১ জুন ২০২৫ | ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনে সমর্থনে ছিলো ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

নিয়োগের মাত্র ১৮ দিন পর বিদায় নিলেন কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:০৪ পি.এম | ২২ মে ২০২৫


শিক্ষকদের অনাস্থা ও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হযরত আলী। বৃহস্পতিবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুয়েটের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আনিসুর রহমান ভূঁইয়া। নানা ঘটনা প্রবাহে তিনমাসের অধিক একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সেশনজটের কবলে পড়ে দেশের খ্যাতনামা এই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এর আগে গত ১ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোঃ হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্র্বতীকালীন উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ মে তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন।
মাত্র ১৮ দিন আগে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন অধ্যাপক হযরত আলী। কিন্তু তাঁর দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক সমিতি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং একপর্যায়ে পদত্যাগের দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার সকালেও কুয়েটের ভিসি’র দায়িত্ব থেকে প্রফেসর ড. মোঃ হযরত আলীর পদত্যাগ, যোগ্য ভিসি নিয়োগ ও দ্রুত কুয়েটের অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এ মানববন্ধনে যোগ দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর গোলাম কাদের।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 
ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরধরে গত ১৮ ফেব্র“য়ারি ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। ওইদিন কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কুয়েট উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে মেডিকেল সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন। ওই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং গালাগাল করেছিল। এ ঘটনা তদন্তে দোষীদের শাস্তির সুপারিশ করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। পরে তা প্রত্যাহার করেছিল ইউসিজি’র তদন্ত টীম। গত ৪ মে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাসে ফিরে যাননি শিক্ষকবৃন্দ। শিক্ষক লাঞ্ছিতদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও একাডেমিক কার্যক্রম চালুর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে আন্দোলনে ছিলেন তারা।

্রিন্ট

আরও সংবদ