খুলনা | শুক্রবার | ২৩ মে ২০২৫ | ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুলনার সাবেক মেয়র খালেক ও তার স্ত্রী, খুবির সাবেক উপাচার্য মাহমুদ ও উপ-উপাচার্য হোসনে আরা আ’লীগ নেতা সাইফুল, কাউন্সিলর রফিক ও তার ভাই

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান : সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ

আইএসপিআর |
১১:২৩ পি.এম | ২২ মে ২০২৫


জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর ঢাকাসহ বিভিন্ন সেনানিবাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মোট ৬২৬ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর কতিপয় কুচক্রী মহলের তৎপরতায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। ফলে সরকারি দপ্তর, থানাসমূহে হামলা, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি, ডাকাতিসহ বিবিধ বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।  
এ ধরনের সংবেদনশীল ও নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের মনে নিরাপত্তাহীনতার জন্ম নেয়। এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষার্থে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা আশ্রয় প্রার্থনা করেন।  
উদ্ভূত আকস্মিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থীদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করার চাইতে তাদের জীবন রক্ষা করা প্রাধান্য পেয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে, ২৪ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পাঁচজন বিচারক, ১৯ জন বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
জাহানাবাদ ক্যান্টমেন্টে খুলনা-যশোরের যারা ছিলেন : যশোরের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পিএস টু এমপি সুজন সাত্তার, পরিবারসহ যশোরের তৎকালীন ডিসি আবরাউল হাসান, পরিবারসহ তৎকালীন এসপি মাসুদ আলম, খুলনা ইউনিভার্সিটির তৎকালীন ভিসি মাহমুদ হাসান, একই ইউনিভার্সিটির তৎকালীন প্রো-ভিসি হোসনে আরা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট-৪ আসনের তৎকালীন এমপি হাবিনুন নাহার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই এস এম ফয়সাল আহমেদ রানা, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। 
আইএসপিআর আরও জানায়, তখন শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে আশ্রয়প্রাপ্তদের বেশিরভাগই এক-দুই দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ছেড়ে যান এবং এর মধ্যে পাঁচজনকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেনানিবাসে অবস্থানকারী ও আশ্রয় প্রার্থীদের বিষয়ে গত ১৮ আগস্ট আইএসপিআরের আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং একই দিনে ১৯৩ জন ব্যক্তির একটি তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই সদস্য ছাড়া) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়-যা ছিল একটি মীমাংসিত বিষয়। সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থী এই ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার্থে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।  
তৎকালীন বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা ছিল। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্তিকর সংবাদ ছড়িয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে দূরত্ব  তৈরি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  এ পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন সাধারণ পুলিশ সদস্য ও একজন এনএসআই সদস্যসহ) প্রকাশ করা হলো।
এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়েছে আইএসপিআর বলেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।
পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়.... সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে তিনি থাকবেন কেন?’
পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

্রিন্ট

আরও সংবদ