বাংলাদেশে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, রাতদিনের পার্থক্য ভুলে উপকূলের সাংবাদিকরা কাজ করে। অনেক সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও তারা পবিত্র দায়িত্ব থেকে এতটুকু বিচ্যুত হয় না। দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। বহুধা বিভক্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের ঐক্য অন্যের জন্য অনুকরণীয়। 
সাতক্ষীরা সফরের অংশ হিসাবে শুক্রবার বিকেল তিনটায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব মোঃ আব্দুস সবুর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ। উপকুলীয় জনপদে কর্মরত সাংবাদিকদের একতা ভালো বার্তা দেয়-উলে­খ করে প্রধান অতিথি আরও বলেন, সব কাজে অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য ঐক্যের বিকল্প নেই। বিভক্ত হলে দেশ ও প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে। এ সময় তিনি উপকূলীয় জনপদে কর্মরত সাংবাদিকদের বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। প্রেসক্লাবে প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবস্থানকালে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের বক্তব্য শোনেন। প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত সভায় উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সম্পাদক মাসুম বিল­াহ, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাবেক সভাপতি গাজী আল ইমরান, দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি রনজিৎ বর্মন এবং দৈনিক সংগ্রামের উপজেলা সংবাদদাতা হুসাইন বিন আফতাব। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক শেখ আফজালুর রহমান। বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলের সাংবাদিকদের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা, সংবাদ সংগ্রহের প্রতিবন্ধকতা এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এর আগে বিকেল তিনটায় সড়কপথে তিনি শ্যামনগর প্রেসক্লাবে পৌঁছালে এ কে এম আব্দুল হাকিমকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন সাংবাদিকরা।