নগরীর শিপইয়ার্ড থেকে উদ্ধার হওয়া হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবকের মরদেহের পরিচয় মেলাতে পারেনি পুলিশ। মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই নমুনা ও আঙুলের ছাপ কোন জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পিবিআই খুলনার ইন্সপেক্টর আব্দুল মান্নান বলেন, সংবাদ জানার পর ঘটনাস্থলে সিআইডি এবং পিবিআই ছিল। সিআইডি’র ফিঙ্গার মেশিন নষ্ট থাকায় তারা কোন কার্যক্রম করতে পারেনি। আমাদের মেশিন ঠিক থাকায় স্যাম্পল সংগ্রহ করে ঢাকা হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার ফিঙ্গার কোন জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল পাওয়া যায়নি।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুজ্জামান বলেন, সকালে মরদেহ পাওয়ার পর থেকে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তার পরিচয় শনাক্তে কাজ করেছেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর শিপইয়ার্ড এলাকা থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের সংবাদ জেনে কেএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডি এবং পিবিআইয়ে’র বিশেষ টিম মাঠে নামে।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর লবণচরা শিপইয়ার্ড মেইন গেটের সামনে হাজী মোঃ মোশারফ হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলামের ভোর ৫টার দিকে কুকুরের ডাক চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় তিনি ওই বাড়ির পেছনের পশ্চিম দিকে তাকিয়ে দেখেন হাত-পা বাঁধা এবং মাথা পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে রয়েছে। প্রথমে বিষয়টি লবণচরা থানাকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে তারা অজ্ঞাত ওই যুবকের মরদেহ নিয়ে যান।
লবণচরা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জাকির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। যুবকটির বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। হাত এবং পা বেঁধে তাকে প্রথমে জখম করা হয়। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দুর্বৃত্তরা পলিথিন মুড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তকরণে ঘটনাস্থলে পিবিআই এবং সিআইডি’র বিশেষ টিমকে অবগত করা হলে তারা কাজ করছেন। তবে যুবকের পরনে নীল রংয়ের জিন্স-প্যান্ট এবং সবুজ রংয়ের রয়েছে।