খুলনা | সোমবার | ২৬ মে ২০২৫ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুবিতে নজরুল উৎসবে উপাচার্য

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের গান ও কবিতা ছিল ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের অনুুপ্রেরণা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:৪৫ এ.এম | ২৪ মে ২০২৫


জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘নজরুল উৎসব-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।  
তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, গান ও সাহিত্য প্রতিটি প্রজন্মের জন্যই প্রাসঙ্গিক। তাঁর সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তরুণ সমাজ। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ ও যুব সমাজের অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা ও সঙ্গীত। তবে নজরুলকে শুধু দ্রোহের কবি হিসেবে দেখলে তাঁর সাহিত্যিক বৈচিত্র্য ও গভীরতা অবমূল্যায়িত হয়। তিনি ছিলেন প্রেমের কবি, দ্রোহের কবি ও সাম্যের কবি-একই সঙ্গে মানবতার কণ্ঠস্বর। তাঁর সাহিত্য যুগে যুগে চর্চিত হয়েছে এবং তা আজও অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। 
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী, একুশে পদকপ্রাপ্ত আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। মুখ্য আলোচক হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও সঙ্গীতের উপর প্রাঞ্জল আলোচনা করেন বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ দুলাল হোসেন।
নজরুল উৎসব-২০২৫ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাতের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মাহমুদ আলম। অতিথি হিসেবে আরও বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী প্রদীপ মহন্ত ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ভার্ঘব বন্দোপাধ্যায়।
বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত-সকল প্রজন্মের জন্যই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক অবিনাশী অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর সৃষ্টিশীল কবিতা ও সঙ্গীত যুগে যুগে তরুণদের জাগ্রত করেছে, জুগিয়েছে সাহস ও সংগ্রামের প্রেরণা। নজরুল বিশ্বাস করতেন, তরুণ সমাজ নিজের অন্তর্নিহিত শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। এই সমাজে যতদিন শোষণ-নিপীড়ন থাকবে, ততদিন নজরুলের বিদ্রোহী চেতনার প্রয়োজন থাকবেই। নজরুল কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সম্পদ নন-তিনি সমগ্র মানবজাতির।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা কত গভীর ও শক্তিশালী, তা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাঁর আদর্শ, স্বপ্ন ও মূল্যবোধ যেন আগামীর সমাজকে আলোয় উদ্ভাসিত করে-এই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন বক্তারা। 
সভা সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সেলিম পারভেজ ও প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী খায়রুন নাহার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
আলোচনা সভার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অতিথি শিল্পীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ