খুলনা | রবিবার | ২৫ মে ২০২৫ | ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গবেষকদের ওপর আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ দুঃখজনক: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

খবর প্রতিবেদন |
০৫:২৪ পি.এম | ২৫ মে ২০২৫


গবেষকদের কর্মকাণ্ডে আমলাতান্ত্রিক হস্তক্ষেপকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আজ রোববার (২৫ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) অনুষ্ঠিত ‘শেকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস)’ আয়োজিত বার্ষিক রিসার্চ রিভিউ ওয়ার্কশপ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও নীরবে নিজেদের গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে। তবে দুঃখজনক হলো, তাদের গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের মুখোমুখি হতে হয়, আমলারা গবেষকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চান। যা গবেষণার স্বাভাবিক গতি ব্যাহত করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে কোন গবেষণার চেয়ে কৃষি খাতের গবেষণা থেকে এদেশ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। কৃষি গবেষণার মাধ্যমে অপ্রতুল সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে এটি অব্যাহত রাখতে হলে গবেষকদের প্রতি আস্থা রাখতে হবে ও তাদের কাজের স্বাধীনতা দিতে হবে। এবারের সরকার কোনো দল-মতের ভিত্তিতে নয়, বরং গ্রহণযোগ্যতা ও একাডেমিক প্রোফাইল বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে নিয়োগ দিয়েছে। এটা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।’

শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজেট অনেকটা গতানুগতিক ধারাতেই প্রণীত হচ্ছে। কেননা বিগত সরকার ভবিষ্যৎ বিবেচনা না করেই দরকারি অদরকারি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রকল্পের কাজ চলমান। ফলে চলমান প্রকল্পগুলো এখনই বন্ধ করে নতুন খাতে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই প্রকল্পগুলো শেষ হলে আগামী বছরগুলোতে নতুন ধারার গবেষণাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা সম্ভব হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এফ এম আমিনুজ্জামান।

দুই দিনব্যাপী এ ওয়ার্কশপে মোট ৪০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে বলে আয়োজকরা জানান।

সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা নিয়মিত গবেষণার কাজ করছেন। তবে গবেষণার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পেতে চাইলে সেগুলোর বেশি বেশি ফিল্ড ট্রায়েল হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু গবেষণার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত মাঠের অভাব রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই যে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠটি আমাদের ছিল, যেটা আমরা ফিরে পেতে চাই। মাঠটি আমাদের অধীনে চলে আসলে গবেষণার পরিধি অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।’

এই রিভিউ ওয়ার্কশপের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীরা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মে গতি সঞ্চার এবং গবেষকদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি বাস্তবধর্মী নীতিনির্ধারণে অবদান রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ।

্রিন্ট

আরও সংবদ