খুলনা | সোমবার | ২৬ মে ২০২৫ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শুনানী ও পুনর্বাসন অধিকার আইন মেনেই মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযান

মোংলা প্রতিনিধি |
১২:৩০ এ.এম | ২৬ মে ২০২৫


মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জায়গায় বসবাসকারী শ্রমিক-কর্মচারীদের বসতি উচ্ছেদ অভিযান থেকে আপাতত ফিরে আসলেন কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনে শুনানীসহ পুনর্বাসন অধিকার আইন বিধি মেনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের উচ্ছেদ অভিযান কর্তৃপক্ষ। যদি উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হয় তা যথাযথ আইন ও বিধি অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। শ্রমিক-কর্মচরীদের কাছ থেকে শুনানী গ্রহণসহ দখলকারীর পুনর্বাসন সংক্রান্ত যে সময়, সুবিধা ও অধিকার আইন ও বিধিতে বিধৃত আছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ তা নিশ্চিত করবে। 
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাকরুজ্জামান এক প্রেস নোটের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। তিনি প্রেস নোটে উলে­খ করেছে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং অগ্রগতির লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর আওতায় বন্দরের সকল জায়গা ও সম্পত্তির সুষ্ঠু, উন্নয়নমূখী ব্যবহার এবং দখলমুক্ত রাখতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। সে লক্ষে প্রথম গত ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পুরাতন মোংলায় অবৈধ দখলদারদের ১২ ফেব্র“য়ারির মধ্যে স্থাপনা অপসারণের জন্য নোটিশ প্রদান করে। দ্বিতীয় বার ৫ সেপ্টেম্বর নোটিশ করা হয়। পরে ১১ নভেম্বর পুরাতন বন্দর এলাকার মেরিন ড্রাইভ সড়কে গড়ে ওঠা ৭০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ মে সহকারী ব্যবস্থাপক (সম্পত্তি), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত পত্রে মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীন জমিতে বসবাস, স্থাপনা নির্মাণ ও ব্যবসা পরিচালনাকারী অবৈধ দখলদারকে আগামী ২৫ মের মধ্যে বসতি স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। 
বন্দরের জায়গা একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ, ওই সম্পদ এবং জমি অবৈধ দখলদারমুক্ত রাখতে উচ্ছেদ অভিযান একটি চলমান ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে শ্রমিক-কর্মচারীদের বসবাসের স্থান উচ্ছেদ করা নিয়ে বন্দর চেয়ারম্যান তদন্ত সাপেক্ষে ও শুনানির মাধ্যমে এবং পুনর্বাসন  অধিকার আইন বিধি মানার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানায় বন্দরের এ কর্মকর্তা। 

্রিন্ট

আরও সংবদ