খুলনা | সোমবার | ২৬ মে ২০২৫ | ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তায় বন্যার শঙ্কা প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান

খবর প্রতিবেদন |
০১:৪৫ এ.এম | ২৬ মে ২০২৫


আগামী ২৯ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ ভারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া বিশ্লেষকরা। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সম্ভাব্য লঘুচাপ/নিম্নচাপ/গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে এই তিনদিনে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর ভারি বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা প্রবল।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের আসাম এবং মেঘালয় রাজ্যের ওপর ৫০০ থেকে ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে এই চারটি বিভাগের কৃষকদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে-পাকা বোরোধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য, বিশেষ করে যেসব জমি অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ পলাশ আরও জানান, তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় বন্যার আশঙ্কা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাঁর মতে, আগামী ৩০ বা ৩১ মে ভারতের গজলডোবা বাঁধের সব গেট খুলে দিতে বাধ্য হবে ভারত সরকার। তিনি দাবি করেন, “এই বিষয়ে আমি ৯০ শতাংশের বেশি নিশ্চিত। এখন থেকেই যদি বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজের উজানে আটকে থাকা পানি ছেড়ে দিয়ে জলস্তর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামানো না হয়, তবে ভারতের গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা ব্যারেজের সব গেট একসঙ্গে খুলতে হতে পারে। এতে তিস্তা নদীপারের মানুষদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এ প্রেক্ষিতে ২৯ তারিখের আগেই নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলাসহ তিস্তা ব্যারেজের উজানে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহŸান জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের রেকর্ড-পরিমাণ বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক পানি প্রবাহ কৃষি, অবকাঠামো এবং জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রস্তুতি গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। 

্রিন্ট

আরও সংবদ