খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দাঁতের চিকিৎসক দিয়ে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট, দুই প্রকৌশলীর মৃত্যু

খবর প্রতিবেদন |
০২:০১ এ.এম | ২৭ মে ২০২৫


ভারতের উত্তর প্রদেশে দাঁতের চিকিৎসকের মাধ্যমে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করিয়ে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণ হারিয়েছেন দুই প্রকৌশলী। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত দুই প্রকৌশলী হলেন বিনীত কুমার দুবেই এবং প্রামোদ কাতিয়ার। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত দাঁতের চিকিৎসক আনুস্কা তাইওয়ারি আত্মগোপনে থাকলেও সোমবার (২৬ মে) তিনি স্থানীয় একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৯ মে বিনীত কুমারের স্ত্রী জয়া ত্রিপতি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তার ভাষ্য, গত ১৩ মার্চ তার স্বামী হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করান। দু’দিন পর, ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
জয়া অভিযোগ করেন, প্রথমদিকে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে এতদিন ধরে ঘটনা চাপা পড়ে থাকে। পরে তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ দপ্তরে অভিযোগ করলে ৯ মে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয় এবং মামলা করে।
সরকারি আইনজীবী দিলীপ সিং জানান, অভিযুক্ত দন্ত চিকিৎসক আনুস্কা তাইওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা না থাকলেও তিনি তা পরিচালনা করেন, যা একটি অপরাধ।
পুলিশ জানায়, ১৪ মার্চ জয়া ত্রিপতি ফোনে জানতে পারেন যে তার স্বামীর মুখ ফুলে গেছে। তিনি বারবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হননি। পরবর্তীতে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক আনুস্কাকে আবার ফোন দিলে তিনি স্বীকার করেন যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়েছে।
জয়া ত্রিপতির দাবি, ওই ফোনালাপের কল রেকর্ড এখনো তার কাছে রয়েছে। এরপর তিনি তার স্বামীকে অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে ১৫ মার্চ বিনীত কুমার দুবেই মারা যান। এই মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক আনুস্কা আত্মগোপনে চলে যান। তবে সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
এদিকে, পুলিশ জানায়, প্রামোদ কাতিয়ার নামে আরেক প্রকৌশলীও একই ধরনের চিকিৎসার পর প্রাণ হারান। তার স্ত্রীও অভিযোগ করেছেন যে, অযোগ্য একজন চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় তার স্বামী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাগুলো নিয়ে তদন্ত চলছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

্রিন্ট

আরও সংবদ