খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গাজায় বর্বরতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল, মৃত্যু প্রায় ৫৪ হাজার

খবর প্রতিবেদন |
০১:২২ পি.এম | ২৭ মে ২০২৫


গাজায় দখলদার ইসরায়েল বাহিনীর বর্বরতা চলছেই। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আনাদোলু এজেন্সি ও আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, ইসরায়েলের বিমান অভিযানে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫৩ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৯ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকৃত নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দুমাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে দখলদাররা। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩ হাজার ৮২২ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১১ হাজার।

এদিকে, প্রায় তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের ফলে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যেতে পারে।

জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) বলছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ