খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুলনায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়

তথ্য বিবরণী |
০১:৩৫ পি.এম | ২৭ মে ২০২৫


খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রথম জামাত, সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় এবং সকাল ১০টায় শেষ জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য মসজিদ ও ঈদগাহসমূহে পরিচালনা কমিটি জামাতের সময় নির্ধারণ করবে।

ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবি) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদ-উল-আযহার গুরুত্ব সম্পর্কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধামত সময়ে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদুল আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক/ ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না। ঈদের সময় রাতে নদীতে সকল প্রকার পণ্যবাহী/মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় স্পীডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া ৫ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্তÍ নৌপথে দিন ও রাতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। সড়কে খোলা পিকআপ/ট্রাকে উচ্চ শব্দে মাইক বাজিয়ে কেউ যেন উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি না করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ইভটিজার ও বখাটের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা মহানগর ও জেলায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। অননুমোদিত পশুর হাট বন্ধ করাসহ এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কোন লঞ্চ টার্মিনাল, মহাসড়ক, রাস্তার পাশে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় গরুর হাট স্থাপন করা যাবে না। ঈদে দূর-দুরান্ত থেকে ট্রাকে পশু নিয়ে আসার সময় যাতে দুষ্কৃতকারী রাস্তায় ও হাটে চাঁদাবাজি করতে না পারে এবং নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত টোল আদায়, ছিনতাই, পকেটমারের উপদ্রপরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদের দিন পশু জবাই করে পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে এবং কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না। পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে সকল পশু জবাই করতে হবে। পশুর চামড়া নির্ধারিত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। এতিমখানা, মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা যাতে পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কোরবানির পশুর চামড়া ভালভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ ঈদ-উল-আযহা ও কোরবানির চামড়ার বাজারকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে।

ঈদ উপলক্ষ্যে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঈদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোষকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঈদের ছুটিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান/বাজার/মার্কেট/অফিস/শপিংমলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সকল প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব পালনের জন্য নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করবে। সকল প্রকার যানবাহন বিশেষ করে বাস/মিনিবাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। দৌলতপুর খেয়াঘাট, জেলখানা ঘাট ও রূপসাঘাট-সহ সকল লঞ্চ, খেয়া ও ফেরী ঘাটে অতিরিক্ত টোল/ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং লঞ্চ/নৌকা/ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। এসকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লিদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে। মুসল্লিদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থা রাখা হবে। বাস, লঞ্চ, স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোন সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭১০৬৯৯-এ জানানো যাবে।

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার ও স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।

্রিন্ট

আরও সংবদ