খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাইক্রোবাসের হেলপার হত্যায় চালকের যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর |
১২:৩৩ এ.এম | ২৮ মে ২০২৫


যশোরে কিশোর হেলপার মিরাজ হোসেন চয়ন হত্যা ও লাশ গুমের মামলায় মাইক্রোবাস চালক রাজু হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি এড. নুরুজ্জামান খান।
সাজাপ্রাপ্ত রাজু হোসেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন মণ্ডলের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চয়ন দিঘলসিংহ গ্রামের সবুজ হোসেনের ছেলে এবং নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে রাজু হোসেনের মাইক্রোবাসে হেলপার হিসেবে কাজ করত। ২০২২ সালের ১২ জুন রাত ৮টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয় এবং ওই রাতে রাজুর সঙ্গেও মোবাইল ফোনে কথা বলে। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে স্বজনেরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারেন, চৌগাছার মাধবপুর এলাকার ধোনারখাল কপোতাক্ষ নদের পাড়ে একটি বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি চয়নের বলে শনাক্ত করেন। ১৪ জুন নিহত চয়নের বাবা সবুজ হোসেন চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার তদন্ত করে প্রথমে থানা পুলিশ এবং পরে পিবিআই’র কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই শরীফ এনামুল হক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন রাজু হোসেনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদে রাজু হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন।
জবানবন্দিতে রাজু জানান, ১২ জুন রাত ২টার দিকে তিনি চয়নের ওপর বলাৎকারের চেষ্টা করেন। বাধা দিলে গামছা পেঁচিয়ে ও গলাটিপে তাকে হত্যা করেন। পরে লাশ বস্তায় ভরে, সঙ্গে দু’টি ইট দিয়ে পানিতে ফেলে দেন।
তদন্ত শেষে রাজুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই। বিচার প্রক্রিয়া শেষে এদিন আদালত তাকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছর কারাদণ্ড এবং লাশ গুমের দায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

্রিন্ট

আরও সংবদ