খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চীনের ঋণ পরিশোধের ঢেউ ধেয়ে আসছে দরিদ্রতম ৭৫টি দেশে

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩২ এ.এম | ২৮ মে ২০২৫


চলতি বছরই বিশ্বের দরিদ্রতম ৭৫টি দেশ চীনের কাছে রেকর্ড পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলীয় থিংকট্যাংক লোই ইনস্টিটিউটের সা¤প্রতিক এক বিশ্লেষণে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, শুধু ওই ৭৫টি দেশের কাছ থেকেই চীন এই বছর পাবে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই ঋণের বড় অংশই চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই)-এর আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। সড়ক, সেতু, হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত নানা খাতে এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
২০১৬ সালে চীন সর্বোচ্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ঋণ দিয়েছিল—যা সেই বছর ঋণদাতা সব পশ্চিমা দেশগুলোর সম্মিলিত পরিমাণের চেয়েও বেশি ছিল। কিন্তু এখন চীনকে ঋণ পরিশোধের সময় হয়েছে এবং এই পরিশোধের বিষয়টি ঋণ নেওয়া দেশগুলোর জন্য একটি বড় চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লোই ইনস্টিটিউট বলছে, এই দশকের বাকি সময় জুড়ে চীন আর ঋণদাতা হিসেবে নয়, বরং ঋণ আদায়কারী হিসেবে সামনে থাকবে।
চীনের ঋণ পরিশোধের এই চাপের ফলে দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে ব্যয় সংকুচিত হচ্ছে। বিশেষ করে, বিশ্বজুড়ে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলমান, তখন চীনের পক্ষ থেকে নতুন ঋণ কমে আসছে, আর আগের ঋণ পরিশোধের চাপ তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনের এই ঋণ প্রদান নিয়ে শুরু থেকেই উদ্বেগ ছিল-বিশেষ করে ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে। তবে বেইজিং বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক দেশ আবার বলছে, চীন এমন সময় ঋণ দিয়েছে, যখন অন্যরা পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে তারা চীনকে বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করে।
তবে লোই ইনস্টিটিউটের রিপোর্টটি সতর্ক করেছে, এই ঋণ এখন রাজনৈতিক চাপ তৈরির মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন-হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, বুরকিনা ফাসো ও ডোমিনিকান রিপাবলিকের মতো দেশগুলো স¤প্রতি তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বেইজিংকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই এই দেশগুলোকে চীন বড় অঙ্কের ঋণ দিয়েছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ