খুলনা | বৃহস্পতিবার | ২৯ মে ২০২৫ | ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যৌন হয়রানির মামলায় বিজেপির সাবেক এমপিকে খালাস দিলো আদালত

খবর প্রতিবেদন |
০১:৩৬ এ.এম | ২৮ মে ২০২৫


ক্ষমতাসীন বিজেপির সাবেক এমপি ও কুস্তি ফেডারেশনের সাবেক প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে যৌন হয়রানির একটি মামলা থেকে খালাস দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে এখনও ছয় কুস্তিগীরের যৌন হয়রানির মামলা রয়েছে। 
অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, নাবালিকা এক নারী কুস্তিগীরের করা মামলা থেকে সাবেক ওই এমপিকে খালাস দিয়েছে আদালত। যদিও তিনি তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হয়রানির অভিযোগ গঠন করা হয় ২০২৩ সালে। তার যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন কুস্তিগিরদের সংগঠনগুলো। এতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা দিল্লির পার্লামেন্ট ভবনের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। ফলে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে ওই বিক্ষোভের চিত্র। 
অলিম্পিক পদকজয়ী সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া ও দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পদকজয়ী বিনেশ ফোঁগাটকে রাস্তায় টেনে হিচড়ে ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ। ওই ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়। এর তীব্র নিন্দা করেন শীর্ষ ক্রীড়াবিদ ও বিরোধী দলীয় রাজনীতিবিদেরা। কুস্তিগীরদের টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার তীব্র সমালোচনা করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। এছাড়া তাদের অভিযোগের তদন্তেরও আহŸান জানানো হয়। শরণ শিংয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে সমালোচনার সম্মুখীন হন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকারের তরফে অবশ্য সকল অভিযোগ প্রত্যাখান করা হয়। 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্তে আসেন বিক্ষুব্ধ কুস্তিগীররা। ক্রীড়ামন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করেন যে, শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১৫ জুন নাগাদ অভিযোগ গঠন করা হবে। একজন নাবালিকাসহ সাতজন নারী কুস্তিগির পুলিশের কাছে শরণের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। নিজের বিরুদ্ধে আসা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শরণ সিং বলেন, কুস্তিগীররা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। কয়েক সপ্তাহ পর ওই নাবালিকা তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়। কুস্তিগির সাক্ষী মালিক বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ওই নাবালিকাকে অভিযোগ প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি শরণ শিং। তিনি বলেন, আইনকে কাজ করতে দিন। 
 

্রিন্ট

আরও সংবদ