খুলনা | শুক্রবার | ০৬ জুন ২০২৫ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অন্তর্বর্তী সরকারে বেশিরভাগ বিদেশি নাগরিক : মির্জা আব্বাস

খবর প্রতিবেদন |
০৫:৪১ পি.এম | ২৮ মে ২০২৫


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন মানুষের আকাঙ্ক্ষিত সরকার, ছিল আস্থার সরকার। এ সরকারের কাছ থেকে আমরা কিছু পাইনি। এ সরকারের মধ্যে বেশি ভাগ এ দেশের নাগরিক নয়। তারা বলেন, সংস্কার করে নির্বাচন দেবে, কিন্তু তারা ৯ মাসেও সংস্কার করতে পারেননি, ৯ বছরেও পারবে না। কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে, কী সিদ্ধান্ত নেবে তা তারা জানে।

বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, করিডর, দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড, স্টার লিঙ্ক দিয়ে কী করছেন? আপনারা মনে করছেন বুঝি না? আমরা বুঝি। দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না।

তিনি বলেন, দেশ প্রেমিক মানুষের ভেতরে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আমরা কথা বললেই, কাজ শেষ করার কথা বলেন। আমরা জানি, কোন কাজ শেষ করতে পারবেন না। এ সরকারের মাথা থেকে আগা পর্যন্ত পচন ধরেছে। এসময় কিছু লোক ইচ্ছাকৃত ভাবে চাঁদাবাজি করছে, এদেরকে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আমীর খসরু বলেন, আজকে বাংলাদেশে তারুণ্যের সুনামি হচ্ছে। এই সমাবেশ গণতন্ত্রের বার্তা দিচ্ছে। গণতন্ত্রের বার্তা হচ্ছে নির্বাচন। গণতন্ত্রের পথ হলো নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সংস্কার বিএনপির আগে কেউ কথা বলেনি। সাত বছর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ এর মাধ্যমে জাতির কাছে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। দুই বছর আগে ২৭দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন তারেক রহমান। তারপর যারা মিলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি তারা ৩১তফা ঘোষণা করেছি। এখন কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়নি বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। কান পেতে শুনুন সেই সংস্কার করবে দেশের জনগণ। যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক সেই সংস্কার ব্যালট-ভোটের মাধ্যমে হবে। আপনাদের মাধ্যমে হবে। আপনারা কে?

আমীর খসরু বলেন, বিচারের কথা বলছে। আমাদের মতো, বিএনপির মতো ক্ষতিগ্রস্ত কেউ হয়েছে? গুম-খুন, ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের জন্য দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, সেনাপতির ভূমিকায় তারেক রহমান কাজ করেছেন। কারও বিচার করতে হলে সেটা বিএনপি করবে। বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেটা বিএনপি করবে। কারণ আমাদের মতো এত ত্যাগ স্বীকার কেউ করেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পতন না হলে এই লোকগুলো কোথায় থাকত? কেউ বিদেশে, কেউ যেখানে চাকরি করছে সেখানে থাকত। আমরা থাকতাম জেলে না হয় ফাঁসির মঞ্চে। তোমাদের ওপর ভরসা নেই। বিচার বিএনপি করবে। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্বাচন বিলম্বিত করা হলে তরুণরা জবাব দেবে।

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

্রিন্ট

আরও সংবদ