খুলনা | শনিবার | ৩১ মে ২০২৫ | ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পদত্যাগ করতে পারেন বিসিবি সভাপতি ফারুক

খবর প্রতিবেদন |
০২:০৮ পি.এম | ২৯ মে ২০২৫


বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদে আবারও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনকে একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৯ মাসের মধ্যেই তিনি ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন, এবং বিভিন্ন সূত্র বরাত দিয়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যম জানায়, তাকে পদত্যাগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিসিবির নেতৃত্বেও আসে পরিবর্তন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ২১ আগস্ট বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক আহমেদ। তার মাধ্যমে শেষ হয় নাজমুল হাসান পাপনের দীর্ঘদিনের শাসন। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ফারুকের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক নানা বিতর্ক এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির ফলে তার অবস্থান নড়বড়ে হয়ে পড়েছে।

ফারুকের নেতৃত্বাধীন বোর্ড বিপিএল ও ডিপিএলের সফল আয়োজন করতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বোর্ডে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্স, এবং ফারুকের একক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা তাকে আরও কোণঠাসা করে তুলেছে।

দেশের  বিভিন্ন গণমাধ্যমে সূত্রের বরাত জানিয়েছে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, তারা বিসিবির বর্তমান সভাপতির পদে আর ফারুককে দেখতে চান না। যদি তিনি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান, তাহলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে অপেক্ষাকৃত সহজ।

উল্লেখ্য, তিনি যেহেতু ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত কাউন্সিলর, চাইলে পরিষদ তার কাউন্সিলর পদ বাতিল করতে পারে। অতীতে আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে।

এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আলোচনায় আছেন সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সরকারের উচ্চপর্যায়ের পছন্দের তালিকায় তার নাম থাকায় তাকে পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দেখা যেতে পারে। বর্তমানে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। যদিও প্রথমে তিনি বিসিবি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি, তবে পরে রটনাগুলো তিনি সরাসরি অস্বীকারও করেননি। এমনটায় জানায় দেশের একটি গণমাধ্যমে।

যদি ফারুক সরিয়ে দেওয়া হয় এবং বুলবুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠবে সরকারি হস্তক্ষেপের বিষয়ে। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো দেশের সরকার ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অতীতে এই কারণে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বোর্ড সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছিল। তবে আগের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কৌশলে নিয়মের ফাঁক গলে এমন পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।

৩১ মে বিসিবির জরুরি সভার আগে পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যেতে পারে। ফারুক আহমেদ হয়তো নির্বাচন না করার শর্তে নির্বাচন পর্যন্ত পদে থাকতে চাইবেন, তবে ঈদের আগেই বিসিবির নেতৃত্বে আরেক দফা পালাবদলের সম্ভাবনা এখন উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না!

্রিন্ট

আরও সংবদ