যশোরে জাল কাবিননামায় বিয়ে এবং বেড়ানোর নাম করে ভারতে নিয়ে গিয়ে জোর করে দেহ ব্যবসা করনোর অভিযোগ স্বামী, শ্বশুর ও ননদের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন এক নারী (১৯)।  আসামিরা হলো সদর উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের শওকত আলী (৪৯), তার ছেলে শাহীন হোসেন (২৬) এবং মেয়ে চম্পা খাতুন (২২)।
এজাহারে ওই নারী উলে­খ করেছেন, প্রতারণামূলক ভাবে ফুসলিয়ে বছর খানেক আগে জাল কাবিননামা তৈরি করে শাহীন তাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা চুড়ামনকাঠি বাজারের পাশে ছাতিয়ানতলা এলাকার শরীফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই ভাড়া বাড়িতে তার শ্বশুর ও ননদ প্রায় যেতেন। তাদের সহযোগিতায় শাহীন চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ভারতে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে তাকে কলতাকায় এক দালালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী শাহীন নিউ টাউন এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকে এবং সেখানে দেহ ব্যবসায় লিপ্ত। তিনি সেখানে গিয়ে শাহীনের চাচাতো বোনকেও দেখতে পান। পরে আরো জানতেন পারেন শাহীন মেয়েদের নিয়ে আসে আর তার বোন চম্পা মেয়েদের ম্যানেজ করে। এই ভাবে তারা ব্যবসা করে। তিনি লুকিয়ে ইমো তার মায়ের সাথে কথা বলেন। তার মা শাহীনের কাছে তাকে ফেরত চান। কিন্তু শাহীন এক লাখ টাকা দাবি করে। পরে তার মা ২০ হাজার টাকা দেয়। আরো ২০ হাজার টাকা পাঠায় এক দালালে কাছে তাকে ফেরত দেয়ার জন্য। গত ২৪ মে মোট ৯ জনকে স্থানীয় এক দালাল সীমান্তের কাছে নিয়ে আসে। কিন্ত তারা সকলে বিএসএফ’র হাতে আটক হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএফ তাদের সীমানার কাছে নিয়ে আসে এবং দ্রুত বাংলাদেশে চলে যেতে বলে। তারা দ্রুত দেশে ঢুকে পরে। পরদিন তিনি বাড়িতে ফেরেন। এই বিষয়টি তিনি তার মাসহ স্থানীয় লোকজনের কাছে বলে থানায় মামলা করেন।