নগরীর ৪নং ঘাটের খাদ্য গুদাম হ্যান্ডিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১৩৮) ত্রিবার্ষিক নির্বাচন প্রায় ১৪ বছর পর আজ ৩১ মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০১১ সালের পর অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচন ঘিরে ঘাট এলাকায় প্রাণচাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক ১৩ মে ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক ২২ মে ১১টি পদে মোট ২০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। চারটি পদে একটি করে মনোনয়ন দাখিল করায় তারা বিনাপ্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি সাতটি পদে মোট ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই নির্বাচন নিয়ে যেমন আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে, দীর্ঘ ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে চাওয়া এই নির্বাচন বাতিল করার জন্য চলছে ষড়যন্ত্র। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রকাশিত খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের দুই দিন পর ২ জন শ্রমিক ভোটার হওয়ার আবেদন করেন। আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে তাদের সদস্য ফরম বা চাঁদা পরিশোধের কোন কাগজপত্র না পাওয়ায় তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয় মর্মে ২৫ মে অবহিত করে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। গত ২৮ মে জরিনা বেগম, স্বামী মান্নান পাটোয়ারী এবং গংরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে  ৯০০২/২০২৫ নম্বরে একটি রিট পিটিশন দাখিল করলে হাইকোর্ট জরিনা বেগম গংদের ৩০ দিনের মধ্যে নাম অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নিষ্পত্তি করতে আদেশ প্রদান করেন। রীরপিটিশনের আদেশ মোতাবেক শ্রম অধিদপ্তর খুলনা কর্তৃক নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ২৯ মে রীট পিটিশন দাখিলকারী ১৩ জনকে ভোটার তালিকাশ অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যার অনুলিপি কেএমপি কমিশনার,  খুলনা জেলা প্রশাসক, শ্রম অধিদপ্তর খুলনার পরিচালক, সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করেছেন এবং খাদ্য গুদাম হ্যান্ডলিং ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন রেজিঃ নং ১৩৮ এর কার্যালয় এর ভেতরে ও বাহিরে এবং আশেপাশে টানিয়ে দিয়েছেন। এ ছাড় গত ২৯ মে তারিখ ইউনিয়নের কার্যালয়ে একটি সভা আহŸান করে সকলকে অভিনন্দন করেছেন। 
বিষয়টি জানাজানি হলে রীট পিটিশনের প্রধান বাদী জরিনা বেগম স্বামী মান্নান পাটোয়ারী, মোঃ রিঙ্কু শরীফ পিতা আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ সবুজ শেখ পিতা সিদ্দিক শেখ,  পান্নু শেখ পিতা জব্বার শেখ, শহিদ শেখ পিতা মোদাচ্ছের শেখ, সেলিম ফরাজী পিতা কাদের ফরাজী সহ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে এই রীট পিটিশন সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না এবং মিথ্যা মামলা যারা দায়ের করেছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।