বিসিবি’র সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী বলেছেন, আওয়ামী সরকারের সীমাহীন চাপের কারণেই সরাসরি জনগণের কাছে আসতে পারিনি। আমি তিন বছরের বেশি সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের জেলে কেটেছে। এ সময়ের মধ্যে আয়নাঘরে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল চারবার। আমার ব্যাংক হিসাবগুলো এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। দলীয় কর্মকান্ড তো দূরের কথা, আমাকে স্বাভাবিক জীবন যাপনও করতে দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। ১৬ বছর আমার লাইসেন্সগুলো বন্ধ ছিল; গেল ১৭ বছর আমি কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যও করতে পারিনি। ফ্যাসিস্ট সরকার শুধু আমাকে নয়, সমগ্র বাংলাদেশকেই গলা চেপে ধরেছিল। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো আজও প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিনাচিকিৎসায় সূ²ভাবে হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এখন অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই শুধু তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, পুরো বাংলাদেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফুলতলার জামিরায় টোলনা জেপিডিএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান মন্টু।
খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী বলেছেন, ডুমুরিয়া-ফুলতলাবাসীকে সাথে নিয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে বিলডাকাতিয়া জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করবো। কারণ শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কৃষক বান্ধব ছিলেন। ফুলতলা-ডুমুরিয়ার সকল সমস্যা সমাধানে কাজ করবো। সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতেই আমি এখানে এসেছি। দল কাকে কোথায় মনোনীত করবে, সেটা একান্ত দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়। দল যাকে মনোনীত করবে, আমরা সবাই তার জন্য কাজ করবো। আমি বিএনপি’র একজন কর্মী; পার্টির আদেশে আমরা সবাই একসাথে কাজ করবো।
ফুলতলা উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক জিএম কামরুজ্জামান টুকু, এস এ রহমান বাবুল। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম নূর, ফুলতলা উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনির হাসান টিটু, ডুমুরিয়া উপজেলার সরোয়ার হোসেন, ফুলতলা বিএনপি নেতা সরদার সেলিম হোসেন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক খান ঈসমাইল হোসেন, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ কবির হোসেন ও সদস্য সচিব আবু সাঈদ, সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা খান বাবু, এস এম আতাউর রহমান, ওয়াহেদুজ্জামান নান্নাসহ ডুমুরিয়া-ফুলতলার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। 
শুরুতেই কোনআন তেলাওয়াত এবং শেষে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তাঁর কণিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা, দলের মৃত্যুবরণকারী সকল নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা সাথে সাথে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিপূর্ণ সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করা হয়।