খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ জুন ২০২৫ | ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পশ্চিমবঙ্গে ফুঁসছে তিস্তা, প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশেও

খবর প্রতিবেদন |
০২:১৩ এ.এম | ০১ জুন ২০২৫


ভুটান ও সিকিমে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। পানির স্তর এরই মধ্যে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গেছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে তিস্তার পানি। এর জেরে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। সতর্কতা জারি করা হয়েছে এসব এলাকায়।
তিস্তার পানির স্তর উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিস্তার দাপট কমাতে নদীর গভীরতা বাড়ানোর কথা ভাবছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সেচ দপ্তরের অধীনে তিস্তার খনন কাজ করা হবে।
কালিম্পং মেলি­, তিস্তা বাজারেও ভয়ানক রূপ নিয়েছে তিস্তার পানি। সংকট প্রবণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে আসার নির্দেশ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন ও জিটিএ (গোর্খা টেরিটোরিয়াল এ্যাডমিনিস্ট্রেশন)। তিস্তা পাড়ের সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
তিস্তার পাড়ঘেঁষা এলাকায় জারি করা হয়েছে কড়া সতর্কতা। মাইকিং করে বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয়েছে, অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোবেন না। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে উত্তরবঙ্গের জেলা প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় ধসের ফলে সিকিম যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধ। যার ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের সিকিমের বুকিং বাতিল করতে হচ্ছে।
উত্তর সিকিমে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমেছে। এর ফলে পর্যটকদের আপাতত সিকিমে নো এন্ট্রি ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর সিকিমে তিস্তায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। এছাড়া সিকিমের পাহাড়ে ধসের মাটি মিশছে তিস্তার পানিতে। সেই ঘোলা পানি ঢুকছে সমতলে।
কালিম্পংয়ের জেলা প্রশাসক বালাসুব্রক্ষণ্যম টি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার (৩০ মে) থেকে পানির স্তর ব্যাপক বেড়েছে। সেজন্য তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরের পাশাপাশি কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।

্রিন্ট

আরও সংবদ