দেশের ছয় জেলায় বজ্রপাত একদিনে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ ও শেরপুরে দু’জন করে ও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, চাঁদপুর এবং সুনামগঞ্জে একজন করে নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। 
ময়মনসিংহ: জেলার গফরগাঁওয়ে ও নান্দাইলে আলাদা বজ্রপাতে দুই গরুসহ এক কৃষক ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার লামকাইন গ্রামের হযরত আলী কারীর ছেলে সোহাগ মিয়া (৪০) ও নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (১২)।
দুপুরে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার পাঁচভাগ ইউনিয়নের লামকাইন চর ও নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
কিশোরগঞ্জ: জেলাতে বজ্রপাতে এক হাঁসের খামারি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বড় ভাই। দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মোবারক মিয়া (১৮) ও আহত ইমরান মিয়া (২২) কাঁঠালিয়া নয়া বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদ মিয়া বজ্রপাতে নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
নেত্রকোণা: জেলার কেন্দুয়ায় মায়ের সঙ্গে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ১০ বছর বয়সী মীম আক্তার নিহত হয়েছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ডুমদি গ্রামের আলী উসমানের মেয়ে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
শেরপুর: জেলার নকলায়সমির উদ্দিন নামে এক কৃষক ও নালিতাবাড়ীতে এক বৃদ্ধাসহ বজ্রপাতে দু’জন মারা গেছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়ন মানিককুড়া ও নকলার টালকি ইউনিয়নের বড়পাগলা গ্রামে পৃথক ভাবে এ ঘটনা ঘটে।
নালিতাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জা (ওসি) সোহেল রানা ও নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চাঁদপুর: জেলার মতলব উত্তরে বজ্রপাতে আলিফ নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ: জেলার ধর্মপাশায় বজ্রপাতে আয়েশা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।