নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৩৯ যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত ৩১ জনকে জীবিত ও একজনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ভাসানচর থেকে করিমবাজার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ট্রলারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ সময় স্থানীয় জেলে, কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশের সহায়তায় ৩১ জনকে জীবিত ও একজনকে মৃত উদ্ধার করা গেলেও এখনও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ভাসানচর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
জানা যায়, হাতিয়ার ভাসানচর থেকে হরণি ইউনিয়নের করিম বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে দুপুর ২টায় একটি ট্রলার ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। করিম বাজার থেকে এক কিলোমিটার দূরে পৌঁছালে বৈরী আবহাওয়া ও মেঘনার উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সেখানে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা অসুস্থ রোহিঙ্গা নাগরিক, ৩ পুলিশ সদস্য, এনজিও প্রতিনিধিসহ ৩৯ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ পুলিশ সদস্য হলেন নায়েক সাইফুল ইসলাম।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় ৩১ জনকে জীবিত ও একজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন। এদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। নিখোঁজ সাতজনকে উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আব্দুল­াহ আল ফারুক ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কোস্ট গার্ড নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় জেলেরা এখন পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করেছে। বাকিদের উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে।’