খুলনা | মঙ্গলবার | ০৩ জুন ২০২৫ | ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অভয়নগরে তদারকির অভাবে লাইসেন্স বিহীন মুরগী ফার্মের ছড়াছড়ি, হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

অভয়নগর প্রতিনিধি |
১১:১৬ পি.এম | ০১ জুন ২০২৫


অভয়নগরে পরিবেশ ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স না নিয়েই জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠছে মুরগি খামার। এতে এলাকার লোকজন বায়ুবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এবং প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাদের কোন তদারকি না থাকায় সহজেই মানুষ জনবসতি এলাকায় গড়ে তুলছে বিভিন্ন জাতের মুরগির ফার্ম। ফলে জনস্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার পায়রা ইউনিয়ন ও কোটা গ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জনবসতি এলাকায় গড়ে উঠেছে লাইসেন্স বিহীন পল্ট্রি মুরগীর ফার্ম। অথচ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বিষয়টি জানেই না, এমনকি  তাদের কোন তদারকিও নেই। সূত্র জানায়, মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ফার্ম পরিচালনা করে আসছে। অথচ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুরগী চাষ করার কোন অনুমতির দরকারই পড়ে না বা নিয়মও নেই। ফার্ম করতে হলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক হলেও এ আইনের তোয়াক্কা না করে মুরগী চাষিরা ট্রেড লাইসন্স নির্ভর হয়ে পড়েছে। কারণ হিসাবে জানা গেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে লাইসেন্স নিতে গেলে ফার্ম মালিকদের মানতে হয় অনেক শর্ত। ওইসব শর্তপূরণের তোয়াক্কা না করেই অবৈধ পন্থায় মুরগী ফার্ম তৈরি করে হুমকিতে ফেলছে জনস্বাস্থ্য।
উপজেলার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানিয়েছেন জনবসতি এলাকায় পল্ট্রি মুরগীর ফার্ম গড়ে তোলায় এর দুর্গন্ধে টিকে থাকা যায়না। কর্তৃপক্ষের উচিৎ জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ওইসব লাইসেন্স বিহীন মুরগীর ফার্মগুলো সরিয়ে অন্য ফাঁকা স্থানে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা। উপজেলার ভাটপাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন বলেন, বাড়ির পাশে মুরগীর ফার্ম হওয়ায় দিনরাত কোন সময় অস্বাভাবিক দুর্গন্ধের কারণে আমাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিছু বললেই ফার্ম মালিক তেড়ে আসে মারপিট করতে। ভয়ে নীরব থেকে সবকিছু মেনে নিয়ে চলতে হয়। কোটা গ্রামের আবুল হোসেন বলেন আমাদের এই এলাকায় বাড়ির সাথে বাড়ি মেশানো। এর মধ্যে ওই পল্ট্রি মুরগীর ফার্মের কারণে দুর্গন্ধে টিকে থাকা কস্টকর হয়ে পড়েছে। ফার্ম সরিয়ে মুরগী চাষের কথা বললে মালিক কোন কথাই শুনেননা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় অনেকবার বসাবসি করে সমাধানের চেষ্টা করেও কোন সমাধান হয়নি। উপজেলায় এমন শত-শত মানুষের বোবা কান্নার মধ্যেও পল্ট্রি মুরগী চাষিরা অনিয়মতান্ত্রিকভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামার করে মুরগী চাষে রয়েছে বহালতবিয়তে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুজার সিদ্দিক বলেন লাইসেন্স যারা করে তাদের আমরা তদরকী করি, কিন্তু লাইসেন্স বিহীন মুরগীর ফার্মের হিসেব আমাদের কাছে নেই। আবাসিক এলাকায় যদি মুরগীর ফার্ম কেউ করে তবে আমরা চেষ্টা করি ফার্মগুলো সরিয়ে ফেলতে। মুরগী ফার্ম নীতিমালা অনুযায়ী যদি ফার্ম করার পদক্ষেপ নেওয়া হয় তবে দেশে পল্ট্রি ফার্মই থাকেনা। আবাসিক এলাকায় ফার্ম করার বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

্রিন্ট

আরও সংবদ