কেশবপুরে জমি ক্রয়ের টাকা ফেরৎ পেতে প্রশাসনের সহযোগিতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার মহাদেবপুর এলাকার আব্দুল হাই। 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বগা এলাকার সন্তোষ কর্মকারের ছেলে রবিন কর্মকার পেশায় পল­ী পশু চিকিৎসক। সে সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয় এবং বাড়িতে তার যাতায়াত। সে পেশায় কৃষক। রবিন কর্মকারের কারণে পেশা বদল করে এখন ইজিবাইক চালক। ২০২৩ সালের শেষের দিকে রবিন কর্মকার তার নামীয় বগা বাজারে ৭ শতক জমি বিক্রির ঘোষণা দিলে তিনি ১৪ লক্ষ টাকায় ওই জমি ক্রয় করার ইচ্ছা পোষণ করেন। শর্ত থাকে অর্ধেক টাকা প্রদান করলে সমুদয় জমি রেজিষ্ট্রি করে দিবে। বাকী টাকা ৪ কিস্তিতে ৬ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন কিস্তিতে সর্বমোট ৬ লাখ বিশ হাজার টাকা গ্রহণ করে রবিন কর্মকার। তবে টাকা গ্রহণ করলেও পরবর্তী সে তাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে রবিন কর্মকারের নিকট বহু বার তার প্রদানকৃত টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে তাড়িয়ে দেয়। মূলত পল­ী পশু চিকিৎসক রবিন কর্মকার আওয়ামী লীগ নেতা। এলাকায় একাধিক কুকর্মে হোতা। আওয়ামী লীগের শাসনামলে নিজেদের ওয়ারিশের জমি বেশি করে রেকর্ড করে নেয়। সেই জমি এখন অন্যত্রে বিক্রি করে ফেলছে। ৫ আগস্টের পরে ভারতে চলে যায়। পরবর্তীতে বউ বাচ্চা নিয়ে ভারতে রেখে আসে। একই জমি একাধিক লোকজনের কাছ থেকেও বায়নাপত্র নিয়েছে। এসব টাকা ভারতে পাচার করে গাড়ি বাড়ি করেছে। প্রায় ভারতের যাওয়া-আসা করে। রবিন কর্মকার সাতক্ষীরায় ঘর ভাড়া নিয়েছে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহিলাদের নিয়ে অপকর্ম করে। তার হুমকিতে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পল­ী চিকিৎসক রবিন কর্মকারের অপকর্মের বিষয়টি ঊধর্ক্ষতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।