খুলনা | বুধবার | ২৩ জুলাই ২০২৫ | ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫ শতাংশ

খবর প্রতিবেদন |
০২:৪২ এ.এম | ০৩ জুন ২০২৫


মূল্যস্ফীতি, বিদেশি ঋণের কঠোর শর্ত আর রাজস্ব ঘাটতির বাস্তবতায় সামষ্টিক অর্থনীতি যখন চাপের মুখে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তখন বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়ে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছেন।
সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য উত্থাপিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন তিনি, যা বহু বছরের মধ্যে কম।
অর্থ উপদেষ্টা তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে। ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাময়িক হিসাবে ৩.৯৭ শতাংশ হয়েছে, যা চূড়ান্ত হিসাবে কিছুটা বাড়তে পারে। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এটি বৃদ্ধি পাবে এবং মধ্যমেয়াদে ৬.৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আমরা আশা করছি।
তার এ বক্তব্যের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় বাজেটের মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতিতে। সেখানে বলা হয়েছে, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট ও দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ স্বল্পমেয়াদে মাঝারি মানের প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি মধ্যমেয়াদে একটি টেকসই ও সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সরকার আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক্কলিত (সংশোধিত) প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছরে তা ৬ শতাংশ এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।
গত বছর বাজেটের সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখনকার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ডিসেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সেই লক্ষ্যেও পৌঁছানো যায়নি। সংশোধনে তা ৫ শতাংশ হবে বলে ধরা হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য ধরা হতো। তবে অনেক অর্থনীতিবিদের মতো বর্তমান সরকারেরও অভিযোগ, সে সময় তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যান নিয়ে কারসাজি হতো। জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দেখানো হতো ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে।
তবে ২০০৫-২০০৯ সময়ে বিএনপি ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করা সালেহউদ্দিন আহমেদ সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ