খুলনা | বৃহস্পতিবার | ০৫ জুন ২০২৫ | ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসা বান্ধব : বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা

হুট করে একটা বিপ্লবী বাজেট দেওয়া সম্ভব নয়

খবর প্রতিবেদন |
০৫:১৮ পি.এম | ০৩ জুন ২০২৫

 

এবারের প্রস্তাবিত বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদ। যারা বাজেটকে গতানুগতিক বলছেন তাদের উত্তরে বলেছেন, হুট করেই একটা বিপ্লবী বাজেট দেওয়া সম্ভব নয়।  মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি আমরা একটি জনবান্ধব ও ব্যবসা বান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি। অনেকে বলছে, তোমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছ। হুট করেই যে আমরা একটা বিপ্লবী বাজেট দিয়ে দেব, সেটা তো সম্ভব না। বাজেটে একেবারে যে ইনোভেশন নেই, তা কিন্তু নয়। সোমবার বাজেট দিয়েছি, এটা ওপেন থাকবে। কিছু সাজেশন আসবে। পরবর্তী সময়ে ফাইনাল বাজেটটা আসবে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সামনের পথ কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি এনবিআরকে রিঅর্গানাইন করতে, বাইরে থেকে ঋণ আনার প্রক্রিয়াটাও মোটামুটি নেগোশিয়েট করে ফেলেছি।
উপদেষ্টা বলেন, সার্বিকভাবে আমি মনে করি চ্যালেঞ্জের মুখে একটু কোলাবোরেটিভ, সিমপেথেটিক হয়ে কাজ করবেন। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যে, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাজেটের নির্যাস হলো সবার জীবন যাপনকে স্বচ্ছ করা, সামাজিক নিরাপত্তা।  
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এমন একটা সময় বাজেট পেশ করেছি যখন দেশের অর্থনীতিকে আইসিইউতে রাখার মতো অবস্থা। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। সংস্কারের চেষ্টা করছি। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেশ ভালো জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, বাইরে প্রত্যেকটা দেশ, এজেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক।’
এবারের বাজেট জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সামনের পথ কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি এনবিআরকে রিঅর্গানাইন করতে, বাইরে থেকে ঋণ আনার প্রক্রিয়াটাও মোটামুটি নেগোশিয়েট করে ফেলেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি আমরা একটি জনবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট দিতে পেরেছি। অনেকে বলছে তোমরা আগের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছ। হুট করেই যে আমরা একটা বিপ্লবী বাজেট দিয়ে দেব, সেটা তো সম্ভব না। বাজেটে একেবারে যে ইনোভেশন নেই, তা কিন্তু নয়। গতকাল বাজেট দিয়েছি, এটা ওপেন থাকবে। কিছু সাজেশন আসবে। পরবর্তীতে ফাইনাল বাজেটটা আসবে। 
তিনি আরও বলেন, সার্বিকভাবে আমি মনে করি চ্যালেঞ্জের মুখে একটু কোলাবোরেটিভ, সিমপেথেটিক হয়ে কাজ করবেন। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যে, এতো প্রতিকূলতার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাজেটের নির্যাস হলো সবার জীবন যাপনকে স্বচ্ছ করা, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো ও জীবনমান উন্নত করা। 
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংসদ না থাকায় আমরা জাতির সামনে বাজেট পেশ করেছি। আমরা দেশের ক্ষমতা নিইনি, দায়িত্ব নিয়েছি। আমরা জাতির কাছে দায়বদ্ধ।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা এমন একটা সময় বাজেট পেশ করেছি যখন দেশের অর্থনীতিকে আইসিইউতে রাখার মতো অবস্থা। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো। সংস্কারের চেষ্টা করছি। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।
সচিব ড. মোঃ খায়রুজ্জামান মজুমদারের সঞ্চালনায় এই সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদসহ অন্যান্য উপদেষ্টা, গভর্নর, অর্থ সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় স¤প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম বাজেট। সোমবার উত্থাপন করা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম, যা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ২৫ হাজার কোটি এবং  বৈদেশিক উৎস থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ বরাদ্দ ছিল ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ আসবে ব্যাংক খাত থেকে। এই খাত থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১২ হাজার ৫০০ কোটি এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ জ্বালানি সড়ক সেতু ও রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, স্বরাষ্ট্র ও কৃষি  উপদেষ্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য বিমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার শেখ বশিরউদ্দীন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর  ড. আহসান এইচ মনসুর ও এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খানসহ বিভিন্ন আর্থিক খাতের প্রধানরা।

্রিন্ট

আরও সংবদ