অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের বাড়েদা পাড়ায় পৌর কৃষকদল সভাপতি তরিকুল ইসলামকে হত্যাকান্ড ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মতুয়া স¤প্রদায়ের ১৫টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনাবলী সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন মানবাধিকার কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিতে যান নির্বাহী সভাপতি সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং শিক্ষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তারা তরিকুল ইসলামের পরিবারে সাথে কথা বলেন। পরে তার কবর জিয়ারত করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবার আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্থ করেন। 
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস তরিকুল হত্যাকান্ড ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি এই নারকীয় তান্ডবে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন আমরা তরিকুলের হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। তবে কোনো নিরীহ গ্রামবাসী যেন হয়রানির শিকার না হন। এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগ-এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দীপক শীল, মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, আইপিনিউজ সতেজ চাকমাসহ অন্যান্য প্রতিনিধিবৃন্দ। 
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এ ছাড়া জেলা পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের নেতারা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিদর্শনকালে জামায়াত ও বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতৃবৃন্দ বলেন তরিকুলের হত্যাকে কেন্দ্র করে পাড়াটিতে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।