খুলনা | শুক্রবার | ০৬ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত ও বদলির দাবি

সাবেক সিটি মেয়র খালেককে আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০১:৫৩ এ.এম | ০৪ জুন ২০২৫


খুলনা  সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) রাজস্ব কর্মকর্তা  মোঃ ওহিদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তিনি মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেককে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সুবিধা দিতেন। পাশাপাশি ২১নং ওয়ার্ডের ভৈরব স্ট্যান্ড রোডের বিএনপি অফিস ভাঙচুরের নেপথ্যে প্রধান ভূমিকা রাখেন। 
কেসিসি’র প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ফিরোজ সরকারের নিকট রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন সংস্থার একাধিক শাখা কর্মকর্তা। অভিযোগকারীরা তার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ উপার্জন এবং আ’লীগের মনোনীত সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সাথে আর্থিক সুবিধা আদান-প্রদানের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তোলার অভিযোগ এনেছেন। এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং তাকে রাজস্ব বিভাগ থেকে অন্যত্র বদলির জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।  
লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে, মোঃ ওহিদুজ্জামান খানের মূল পদ ছিল কালেক্টর অফ ট্যাক্সেস। পরবর্তীতে তিনি দীর্ঘদিন প্রধান কর নির্ধারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ক্ষমতায় আসার পর তাকে রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ওহিদুজ্জামান খান সাবেক মেয়র এবং তার দলীয় কাউন্সিলারদের দাপ্তরিক ও আর্থিকভাবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এর ফলস্বরূপ, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তাকে মোটা অঙ্কের আর্থিক সুবিধা দিতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও উলে­খ করা হয়েছে যে, সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্বাচনকালীন সময়ে ওহিদুজ্জামান খান সরাসরি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও জনমত জরিপে জড়িত ছিলেন। এমনকি, নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজে তিনি অর্থও যোগান দিতেন। 
অভিযোগকারীদের দাবি, এই অর্থের উৎস ছিল প্রধান কর নির্ধারকের পদে থাকাকালীন সময়ে তার অবৈধ উপার্জন। এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে, অভিযোগকারীরা রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে ওহিদুজ্জামান খানের নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং প্রধান কর নির্ধারক ও রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে তার অবৈধ অর্থ উপার্জনের যাবতীয় বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে রাজস্ব বিভাগ থেকে অনত্র বদলির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।  
এদিকে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডে ভৈরব স্ট্যান্ড রোডের বিএনপি অফিসের হোল্ডিং ট্যাক্স কমানোর দাবির প্রেক্ষিতে রিভিউ বোর্ড হয়, কিন্তু পরবর্তীতে রাজস্ব কর্মকর্তা নিজস্ব ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি অফিসটি ভেঙে ফেলেন। এ বিষয়ে সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোল­া ফরিদ আহমেদ অভিযোগ করেন, রাজস্ব কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান আ’লীগের দোসর। তিনি গত বছর তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি অফিস থেকে ভেঙে ফেলেন। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আছে। এমন কর্মকর্তা এখনো কেসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, তা দুঃখজনক। 
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে মোঃ ওহিদুজ্জামান খান বলেন, আমি সাবেক সিটি মেয়রকে কোন সুবিধা দেইনি। এছাড়া আমি কখনো কোন নির্বাচনের প্রচারণাও অংশ গ্রহণ করিনি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।  

্রিন্ট

আরও সংবদ