খুলনা | শুক্রবার | ০৬ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

নগরীর ম্যানগ্রোভ টাওয়ারের মালিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা, ওসি সোনাডাঙ্গাকে তদন্তের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:২৯ এ.এম | ০৪ জুন ২০২৫


নগরীর ম্যানগ্রোভ টাওয়ার-১ ভবন-এর ফ্ল্যাট মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘কোডার্স প্যাশন’ নামক একটি আইটি ফার্মের ৪০ লক্ষাধিক টাকার অধিক মালামাল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন ফ্ল্যাট মালিক মঈনুল ইসলাম, তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম মোমেন, বোন ফাহমিদা আক্তার এবং ফ্ল্যাট মালিকের ম্যানেজার ইমন। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা পরিকল্পিতভাবে মালামাল আটকে রেখে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি ফ্লাট মালিকের ছোটভাই  ও তার গুন্ডা বাহিনী কর্তৃক ভাড়াটিয়া আইটি প্রতিষ্ঠানের নারী উদ্যোক্তার উপর হামলা ও অর্থ ছিনতাইসহ সাক্ষীদের জীবননাশের হুমকীর অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ এনে স¤প্রতি খুলনার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (আমলী) আদালত সোনাডাঙ্গায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
মামলার দরখাস্ত উলে­খ করা হয়, আইটি প্রতিষ্ঠান ‘কোডার্স প্যাসন’-এর স্বত্বাধিকারী নারী উদ্যোক্তা শাহীনা খাতুন নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আউটার বাইপাস রোড, পূজা খোলা এলাকার ম্যানগ্রোভ টাওয়ার-১ এর তৃতীয় তলায় ২০২০ সালের ৮ আগস্ট একটি ফ্লাট অফিস হিসেবে ভাড়া নেন। তিনি সততার সাথে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু ফ্লাট মালিক মঈনুল ইসলামের সঙ্গে মতবিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার এবং পেশী শক্তি প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। এতে প্রতিষ্ঠান মালিক আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি পরবর্তীতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর অফিসের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করে মালামাল প্রতিষ্ঠান মালিক বুঝে নেবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।  কিন্তু তিনি ভাড়া পারিশোধ করলেও অফিসের মালামাল তাকে আজও ফেরত দেওয়া হয়নি। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে ৪টি এসি, একটি ফ্রিজ, কনফারেন্স টেবিল, ২৯টি চেয়ার, ১০টি লেপটপ, ১০টি মনিটর, ২টি ডেস্কটপ, অফিস কেবিনেট, আলমারি, সিসি ক্যামেরা, ক্যামেরা ডিভাইস, টিভি, ফ্যান ও গ্যারেজে থাকা  একটি প্রাইভেট কারসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল। এছাড়াও ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে আরও ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়। এমনকি ঘটনার দিন গত ১০ মে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অফিসে গেলে চাবি কেড়ে নেওয়া হয় এবং সাক্ষীসহ তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর এবং অর্থ লুট করে নেওয়া হয়। এমনকি তাদের জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও এজাহারে উলে­খ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইটি প্রতিষ্ঠানটি একটি পাটনারশীপ ব্যবসা। অন্য স্বত্বাধিকারি ময়মনসিংহ জেলা সদরে, মেহেদী হাসান প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল প্রতিষ্ঠানটিসহ স্বত্বাধিকারী ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার শাহিনা খাতুনকে এফিডেভিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।  উলে­খ্য কোম্পানি ওই নারী উদ্যোত্তাকে পাওয়ার অফ এটুনি প্রদান করেন।  
মামলার বাদী আইটি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী শাহিনা খাতুন অভিযোগ করেন, তার প্রতিষ্ঠানের ৪০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল আটকে রেখে এবং ৫০ লক্ষাধিক টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতিসহ প্রায় কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি। তিনি আদালত ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এর প্রতিকার দাবি করেন। 
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. এম মাফতুন আহমেদ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ