পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন ম্যানদের কেন্দ্রীয় সংগঠন ক্যাব-এর ডাকে সাড়া দিয়ে রূপসা উপজেলার সাব জোনাল অফিসের ২২ জন কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ, সার্ভিস কোড একত্রিতকরণ, অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়মিত ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান, অতিরিক্ত শ্রমের বিনিময়ে ওভারটাইম প্রদানসহ নানা দাবি নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তারা আন্দোলন চালিয়ে আসছে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর কর্মচারীদের আন্দোলন আরও জোরদার হয়। সর্বশেষ গতকাল বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে রূপসা সাব জোনাল অফিসের ২২ কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করে ঢাকায় আন্দোলনের যোগদান করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বর্তমানে রূপসা অফিসের লাইনম্যান হিসেবে কেউই দায়িত্বে নেই। 
পল­ী বিদ্যুতের এই সংকটময় মুহূর্তে এক একমত বিনিময় সভা বিকালে রূপসা সাব জোনাল অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাট পল­ী বিদ্যুৎ সমিতির রূপসা সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মোঃ এ হালিম খানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওঃ হাবিবুল­াহ ইমন, কাজদিয়া সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খান মেজবা উদ্দিন সেলিম, রূপসা সাব স্টেশন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সুশান্ত চক্রবর্তী, টোটাল ফুডের লিগ ইঞ্জিনিয়ার জহরুল ইসলাম, সাংবাদিক কৃষ্ণ গোপাল সেন, খান আব্দুল জব্বার শিবলী, জিএম আসাদুজ্জামান, আঃ কাদের, বেনজীর হোসেন, চিত্তরঞ্জন সেন, এম মুরশীদ আলী, নাহিদ জামান, আজিজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম তুরানসহ এলাকার সুধীজন। জোনাল  অফিসের এজিএম আব্দুল হালিম বলেন, পল­ী বিদ্যুতের কর্মচারীদের ধর্মঘটের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। সামনে পবিত্র ঈদ উল আজহা এবং কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটলে তা সামাল দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। ঝড় বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটলে জনগণকে ধৈর্য ধরার জন্য তিনি আহŸান জানান।