খুলনা | শুক্রবার | ০৬ জুন ২০২৫ | ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রস্তাবিত বাজেটে অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি : খুলনা গণসংহতি আন্দোলন

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:২১ এ.এম | ০৫ জুন ২০২৫


প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সম্পর্কে গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল এবং যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ অলিয়ার রহমান শেখ বিবৃতিতে বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনগণের আকাক্সক্ষা বাজেটে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, বাজেট নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছে। 
অভ্যুত্থান পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলো তা বাস্তবায়ন করতে হলে যে ধরনের জনমুখী বাজেট দরকার তা এই বাজেটে নেই। গণসংহতি নেতৃদ্বয় বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসন আমলে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম হয়েছে অর্থনীতি লুটপাটের সাথে তা গভীরভাবে সম্পর্কিত। আমরা লুটপাটের অর্থনীতি বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে আহবান জানাচ্ছি। তরুণ ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এই বাজেটে কোনো বিনিয়োগ পরিকল্পনা নেই। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত হবে। 
গণসংহতি নেতারা বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রথম বাজেটে জনগণের পক্ষ থেকে যে প্রত্যাশা ছিলো এই বাজেটকে তার ভিত্তিতে এবং অর্থনীতির উৎপাদনশীল রূপান্তরের সূচনা বিন্দু হওয়া উচিত ছিলো বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পেয়েছি, এই বাজেট রুপকল্পের দিক থেকে পুরোনো  বাজেটেরই ধারাবাহিকতা। ফলে তা জনপ্রত্যাশাকে পূরণ করতে পারেনি।  বাজেট যতোই বড় বা ছোটো  করা হোক এর বাস্তবায়ন যোগ্যতা নির্ভর করছে সরকার ঐ বাজেট অর্থায়ন করার যে প্রক্রিয়া প্রস্তাব করা হয়েছে, তা কতটুকু বাস্তবসম্মত-তার ওপর। গণসংহতি নেতৃবৃন্দ বলেন,  মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাভিলাসের কারণে বিশ্বাসযোগ্য নয়। 
নেতৃবৃন্দ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই সংস্কারের আওয়াজ দেয়ায়, কর কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের যে আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছিলো বাজেটে তার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে না। আসছে বছরেও রাজস্ব আয়ের জন্য সরকার পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমাতে পারেনি। পরোক্ষ কর ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল শ্রেণির নাগরিকদের ওপর বর্তায়। 

্রিন্ট

আরও সংবদ