খুলনা | সোমবার | ০৯ জুন ২০২৫ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বেনাপোলে ঈদের নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে ককটেলের আঘাতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু

বেনাপোল প্রতিনিধি |
১০:৫৬ এ.এম | ০৮ জুন ২০২৫


যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুপপাড়া গ্রামে ঈদুল আজহার নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঈদের নামাজ পড়ার সময় বিএনপির একপক্ষ বলে ময়দানে আওয়ামীলীগের কোন লোক এখানে নামাজ পড়তে পারবেনা। অন্য পক্ষ বলে না তারা ঈদের নামাজ এখানে পড়বে। এ নিয়েই বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে মূলত ঝামেলা বাধে।

এ ঘটনাকেই কেন্দ্র করে শনিবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বেনাপোলের ডুপপাড়া গ্রামের জামতলা নামক এলাকায় আব্দুল হাই (৫৫)র উপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় সে মারাত্মকভাবে আহত হয়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন সকালে ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামসুরের ছেলে আবু সাইদ (৩৫) ও তার সঙ্গে থাকা ৪-৫ জন লোক কতিপয় আওয়ামী সমর্থককে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণে বাধা দেয়। এ সময় আব্দুল হাই বিষয়টির প্রতিবাদ করলে, রাতে সাইদসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, নিহত আব্দুল হাই একজন বিএনপির কর্মী।কে বা কারা তার উপর ককটেল মেরেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়া জানান,এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পায় বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুপপাড়া গ্রামের জামতলা নামক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই নামে একজন আহত হয়েছেন। এবং তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আব্দুল হাইকে কে বা কারা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।

্রিন্ট

আরও সংবদ