খুলনা | শুক্রবার | ১৩ জুন ২০২৫ | ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান জানেন ও মানেন, সঙ্কট নিরসনে তারেক রহমান-ই সর্বশেষ উত্তর

তানভীর বারী হামিম |
০২:৩৯ পি.এম | ১১ জুন ২০২৫


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গ্রামে চায়ের দোকানে ঝড়, ঝড় চলমান সাইবার ওয়ার্ল্ডেও। বিষয়ঃ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠক। এ সংবাদে স্বস্তি মিলেছে দেশের চিন্তায় শ্বাসকষ্টে ভোগা দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের। তবে, অতিমাত্রায় আশাহয় হয়েছেন- যারা ড.ইউনূসকে জনবিচ্ছিন্ন করে আড়ালে নিজেদের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশবিরোধী চক্রান্তে ব্যস্ত ছিলেন। তারা এতদিন ষড়যন্ত্রের কূটকৌশলে সফল হলেও সে কূটকৌশল পরাজিত হবে ১৩ জুন সকাল ৯ টায়। পরাজিত এ শক্তি বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত বিজ্ঞজন এবং কথিত বুদ্ধিজীবীদের উপরে ভর করেছে ভিন্নভাবে। ঐ যে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে- প্রবাদের সত্যতা প্রমান করছে যেন! পরাজিত এ শক্তি বাজারে নতুন ডিবেট এর আমদানি করেছে - ড. ইউনূস সরকারের পক্ষ থেকে তারেক রহমানকে নয়, তারেক রহমান নাকি ড.ইউনূসের সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। অন্ধ দলবাজ এবং অন্ধ চালবাজদের এ আলোচনা এমনভাবে উঠে এসেছে যে ড.ইউনূসের শ্রেষ্ঠত্বকে জাহির করতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কে শ্ৰেষ্ঠ কিম্বা কে কাকে হাত বাড়ালো বিষয়টি একপাশে রেখে প্রথমেই দেশপ্রেমিকদের চোখে পড়েছে ও হৃদয়ে অনুধাবন হয়েছে যে,ড.ইউনূস ও তারেক রহমানের সাক্ষাতে ষড়যন্ত্রকারীদের সকল কূটকৌশল পরাজিত হবে, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন যে গণতন্ত্রের অভাবে নিজেদেরকে তার স্বদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত করতে পারছেনা, সেই আক্ষেপ থেকে ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ এর মানুষ মুক্তির প্রহর গুনলেও তা বাস্তবায়নে বাধ সেজেছিলো বর্তমান সময়ের এই অনিশ্চয়তার পরিবেশ। যেখানে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার থেকে নির্বাচনকালীন সময়সীমা নিয়ে ধোঁয়াশা এবং দেশের সব থেকে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ডেডলাইনঃ সবমিলিয়ে দেশে এক গুমোট আবহাওয়ার পরিবেশ বিরাজ করছিলো। আর সেই প্রবল ঝড়ের পূর্বে ঝিম মেরে থাকা আবহাওয়ায় হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে লন্ডনে নোবেল লরিয়েট এবং বাংলাদেশের অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়কের মিটিংয়ের খবরে আর সেই ঠান্ডা হাওয়া থেকে দেশে স্বস্তির পরিবেশ বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে রচিত হবে ১৩ জুন সকাল ৯টায় লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে চাই ড. ইউনূসকে যিনি জানেন দেশের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান নির্বাচন অত্যন্ত জরুরী। আর এ সঙ্কটময় সময়ে তাই তো তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, দেশের সবথেকে বড় রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রধানকে। কেননা, দেশের সব থেকে বেশি মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী তারেক রহমান কখনো দেশের স্বার্থবিরোধী কোন চক্রান্তের সাথে আপোস করেন না, পরাজিত হন না বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা ও বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেন। তাই, আবারো ধন্যবাদ ড. ইউনূসকে। আপনার প্রজ্ঞাময়তার আরেকটি উদাহরণ হয়ে থাকবে- আপনার আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আলোচনাটি।
লেখক : তানভীর বারী হামিম, প্রচার সম্পাদক কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রদল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 
প্রতিষ্ঠাতা, কমল মেডিএইড,ঢাবি।

্রিন্ট

আরও সংবদ