খুলনা | শুক্রবার | ১৩ জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

লন্ডন বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে: রিজভী

খবর প্রতিবেদন |
০২:৪৯ পি.এম | ১১ জুন ২০২৫


যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি হবে ঐতিহাসিক। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনসহ সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।

আজ বুধবার (১১ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে। বিশ্বাস করি এটি হবে ঐতিহাসিক বৈঠক এবং এ বৈঠকের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিএনপি আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে অনড়। এমন পরিস্থিতিতে আগামী শুক্রবার লন্ডনে একান্ত বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক জটিলতা অনেকখানি কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ইতিমধ্যে ডিসেম্বরে নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে বিএনপি। যৌক্তিক সময়েই নির্বাচন হবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনসহ সব সমস্যা সমাধান সম্ভব।’

প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের প্রতি ভয়ংকর বিদ্বেষপরায়ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের পর তারা হিংস্র হয়ে উঠেছে। পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগানোর চেষ্টা করছে। সীমান্ত এলাকায় পুশইনের হিড়িক লেগেছে।’ ‘বাংলাদেশ কি বর্জ্য ফেলার স্থান’, প্রশ্ন রাখেন রিজভী।

রিজভী বলেন, ‘দেশের লোককে বিদেশি বানিয়ে ভারত বাংলাদেশে পুশইন করতে চাইলে প্রতিবাদের পাশাপাশি প্রতিরোধ করবে বাংলাদেশ। ভারতকে মনে রাখতে হবে অত্যাচার-নিপীড়ন করে শেখ হাসিনাও টিকে থাকতে পারেনি।’

সম্প্রতি করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভারতে এরই মধ্যে ৭ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে একজন মারাও গেছে। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত করণীয় নির্ধারণ করে প্রস্তুতি নিতে হবে।’

ঈদযাত্রাকে ঘিরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৫৭ জন মৃত্যুর সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য এই দুর্ঘটনা বেড়েছে। এ ছাড়া ঈদে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যও ছিল। ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন আনন্দের ছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি দেখা গেছে। প্রশাসন আরও তৎপর হলে তা কমানো সম্ভব হতো।’

্রিন্ট

আরও সংবদ