খুলনা | শুক্রবার | ১৩ জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পিছু হটলেন ইলন মাস্ক, এবার ট্রাম্পের কাছে দুঃখপ্রকাশ

খবর প্রতিবেদন |
০৫:১১ পি.এম | ১১ জুন ২০২৫


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্যে বাগবিতণ্ডায় জড়ানো নিয়ে এবার দুঃখপ্রকাশ করেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।

আজ বুধবার এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক লিখেছেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কে আমার কিছু পোস্টের জন্য আমি অনুতপ্ত। সেগুলো একটু বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিল।

এ বিরোধের সূত্রপাত ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত ব্যয় বিল নিয়ে মাস্কের মন্তব্য থেকে। এ বিলটি ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের অভ্যন্তরীণ এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দু বলে বিবেচিত হয়েছিল। মাস্ক এই বিলটিকে ‘ঘৃণ্য জঘন্য কাজ’ আখ্যা দিয়েছিলেন এবং এর সমর্থনকারী রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গত শনিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্ককে সতর্ক করে বলেছিলেন, যদি মাস্ক বর্তমান রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীদের অর্থায়ন করেন, তবে তাকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

যদিও তিনি সেই পরিণতি কী হতে পারে তা নির্দিষ্ট করে বলতে রাজি হননি ট্রাম্প। তিনি সেই সাক্ষাৎকারেই স্পষ্ট করে দেন, দু’জনের পুনর্মিলন সম্ভব নয়। ট্রাম্প বলেন, তার সঙ্গে কথা বলার আমার কোনো ইচ্ছা নেই।

ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে সাবেক অর্থদাতা জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ধারাবাহিক পোস্ট দিলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এপস্টেইন ২০১৯ সালে যৌনদাসী পাচারের অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন।

মাস্ক লিখেছিলেন, ‘এখন আসল বোমা ফেলার সময়: (ট্রাম্প) এপস্টেইন ফাইলগুলোতে রয়েছেন।’

‘এপস্টেইন ফাইল’ হলো যৌন অপরাধের মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় আত্মহত্যা করা জেফরি এপস্টেইনের মামলাসংক্রান্ত নথিপত্র। এসব নথিতে জেফরি ও তার সহযোগীদের ভ্রমণের নথি, কাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন—এসবের বিস্তারিত আছে। এপস্টেইন ফাইলের কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।

গত শনিবার সকালের মধ্যে, কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই দুটি পোস্টই মুছে ফেলেন মাস্ক।

এনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এ অভিযোগগুলোকে ‘পুরোনো খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এমনকি এপস্টেইনের আইনজীবীও বলেছিলেন যে এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।

ট্রাম্প এপস্টেইনের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন বলে স্বীকার করলেও, এপস্টেইনের ব্যক্তিগত দ্বীপে কখনো যাননি বা কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত নথিগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো অন্যায়ের অভিযোগ নেই।

্রিন্ট

আরও সংবদ