খুলনা | শনিবার | ১৪ জুন ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আহমেদাবাদে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

খবর প্রতিবেদন |
১০:৪০ পি.এম | ১২ জুন ২০২৫


ভারতের আহমেদাবাদে আবাসিক এলাকায় এয়ার ইনডিয়ার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলের একটি ভবন থেকে ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর রয়টার্সের

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়া উড়োজাহাজটি স্থানীয় বি.জে. মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ডাইনিংয়ের উপর বিধ্বস্ত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভেতরে থাকা অনেক মেডিকেল শিক্ষার্থীও নিহত হয়েছেন।

পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের কতজন বিমানের আরোহী এবং কতজন মাটিতে ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা এএফপি ও এপি জানিয়েছে, উড়োজাহাজের কেউ আর জীবিত নেই বলে ধারণা করছেন আহমেদাবাদের পুলিশ প্রধান।

এদিকে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএআইএমএ) জানিয়েছে, ৫০ থেকে ৬০ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থী মারা গেছে ও অন্তত দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে রাখা হয়েছে।

বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় পড়ে। উড়োজাহাজটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।

বিবিসি বলছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই উড়োজাহাজে যে ২৪২ জন আরোহী ছিল, তার মধ্যে দুইজন পাইলট ও ১০ জন ক্রুও ছিলেন।

যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, একজন কানাডার ও ৭ জন পর্তুগালের নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ার ইনডিয়া। বাকিরা সবাই ভারতীয় নাগরিক।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার কিছু সময় পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছাড়ে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়, এরপর আর উড়োজাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

ভারতের এ ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে বিমানটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এ বিমানটি সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে।

বিমান চলাচল বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিতে নিতে পারেননি পাইলট।

সাবেক ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনাগর নামের এ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। উড্ডয়নটি নিখুঁত ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি উপরে তোলার আগেই বিমানটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ হারিয়ে ফেলে। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ‘ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে উড্ডয়নটি বেশ সুন্দরভাবে হয়েছিল। এছাড়া বিমানটিও নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট মে ডে কল করেছিলেন। যার অর্থ ওই সময় জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।’

্রিন্ট

আরও সংবদ