খুলনা | বুধবার | ০২ জুলাই ২০২৫ | ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

পাইকগাছায় ঘেরের বাসায় আগুন দেয়ার অভিযোগ

পাইকগাছা প্রতিনিধি |
১১:৫৬ পি.এম | ১২ জুন ২০২৫


পাইকগাছায় জিএম আমিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির চিংড়ি ঘেরের বাসায় অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘের মালিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে প্রতিপক্ষ কেউ এ ঘটনা ঘটাইতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। 
প্রাপ্ত অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের পূর্ব ভ্যাকটমারি গ্রামের জিএম আমিরুল ইসলাম পেশায় পোস্ট মাষ্টার। বাড়ির পাশে বেতবুনিয়া মৌজায় ১০ বিঘা আয়তনের তার একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। যেখানে তিনি দীর্ঘদিন মৎস্য চাষ করে আসছেন। আমিরুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার থেকে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার ভোরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি রাতের আঁধারে কে বা কারা আমার চিংড়ি ঘেরের বাসাটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর কিছু গ্রাহকের সাথে বীমার টাকার নিয়ে গোলযোগ চলছে। গ্রাহকদের অনেকেই দুই তিন কিস্তি জমা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদের অনেকেই এই টাকা ফেরত নিতে চায় এবং এ নিয়ে তাদের সাথে আমার বিরোধ দেখা দেয়। আমি গত ১০ জুন ঘেরে অবস্থান করছিলাম। দুপুরের দিকে আবাসন এলাকার রনি, স্বজল, রবিউল, মুসলিমাসহ অনেকেই আমাকে ঘের থেকে জোর করে তুলে নিয়ে আবাসনের বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে বেদম মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ বিকাল ৩ টার দিকে আমাকে উদ্ধার করে। সেই থেকে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আমি হাসপাতালে থাকায় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে রাতের আঁধারে আমার ঘেরের বাসায় অগ্নি সংযোগ করা হতে পারে বলে ধারণা করছি। এ প্রসঙ্গে আবাসনের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম, স্বজল, জামাল সানা, রবিউল ইসলাম ও জাহানারা বেগম বলেন এলাকার বহু মানুষ আমিরুল ইসলামের কাছে বীমা টাকার পাবো, টাকা ফেরত না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকেই তাকে ধরে নিয়ে বিদ্যুৎ-এর খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে, তবে তাকে মারপিট করা হয়নি। বীমার টাকা না দেওয়ার জন্য আমিরুল বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন আবাসনের বাসিন্দারা। ঘটনার দিন বিকালে  দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয় বলে থানার এসআই আনিসুর রহমান জানান। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ