খুলনা | শনিবার | ১৪ জুন ২০২৫ | ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কয়রায় পচা গোসত বিক্রেতার জেল-জরিমানা

নগরীতে মরা গরুর মাংসসহ গ্রেফতার ২, পিকআপ জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
০২:১৪ এ.এম | ১৩ জুন ২০২৫


নগরীতে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের নগরীর গল­ামারী এম এ বারী সড়কস্থ ওয়ালটন শো রুমের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপও জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে। অন্যদিকে, কয়রা উপজেলা সদরে পচা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে ১০ দিনের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলো, ঝিনাইদাহের মহেশপুর উপজেলার নিকারীপাড়া জলিলপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন আলীর ক্লাব সংলগ্ন আল আমিন মহল­ার বাসিন্দা সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান জানান, গল­ামারী এম এ বারী সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল­াশীকালে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ (যশোর ন-১১-১২৯০) বারী সড়কে প্রবেশ করলে পুলিশ পিকআপ থামিয়ে মোঃ মমিনকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় গাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। চার মণ ৩০ কেজি পরিমাণ মাংস পলিথিনের ওপর অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। এ সময়ে তিনি মোমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন এলাকার বাসিন্দা তামিমের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য মাংস চুয়াডাঙ্গা থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরপর ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়া হয় তামিমকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম ও ঠিকানা পুলিশের কাছে জানায় সে। পুলিশ মাংসের প্রকৃত মালিক চুয়াডাঙ্গার জীবন নগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। এ সময়ে তিনি পুলিশকে জানায়, ১১ জুন সন্ধ্যায় গরুটি স্টোক করলে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে গরুর মাংস পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, উলি­খিত আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগাক্রান্ত এবং মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে খাদ্য নিরাপত্তা আইনের ২০১৩ সালের ৫৮ তফসীলে ক্রমিক নং ১৫ এর ৩৪ ধারায় থানায় মামলা হয়েছে। জব্দ হওয়া মাংস হতে পরীক্ষার জন্য এক কেজি রাখা হয়েছে বাকী অংশটুকু আদালতের নির্দেশে ধ্বংস করা হবে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে, কয়রা উপজেলা সদরের বাজারে পচা গরুর মাংস বিক্রির দায়ে সিদ্দিক মোড়ল নামের এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি মেঘের আইটগ্রামের আব্দুর রহিম মোড়লের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিকে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস।
জানা গেছে, সিদ্দিক মোড়লের গরুর মাংসের দোকান থেকে সকালে এক ক্রেতা মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে গিলে মাংসের পিলিথিন খুললে গন্ধ বের হলে তিনি মাংসের দোকানে এলে ব্যবসায়ীকে পচা মাংস বিক্রির কথা বলেন। এ সময় বিষয়টি তিনি বাজার কমিটিকে জানালে বাজার কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত হয়ে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ভক্ষণ অযোগ্য পচা মাংস বিক্রির দায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

্রিন্ট

আরও সংবদ