খুলনা | শনিবার | ১৪ জুন ২০২৫ | ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রতিবাদ বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর

নগরীর পার্কগুলো বেহাল অবস্থা : ভেতরে বাইরে দোকান ও ময়লা আবর্জনা

খবর বিজ্ঞপ্তি |
০২:২৪ এ.এম | ১৪ জুন ২০২৫


মহানগরী খুলনার বিভিন্ন পার্কগুলো এখ বেহাল অবস্থা। পার্কগুলোর ভেতর-বাইরে বসানো হয়েছে অস্থায়ী দোকানপাট। আবার সেখানে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি সেগুলো দখলে রেখেছে।
এ বিষয় প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দিন।   
মোঃ জামাল মোড়লের পরিচালনায় বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব খোকন বলেন, কোনো কোনো পার্কে বসার পরিবেশ নেই, যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা, চারিদিকে চা, পান, সিগারেট দোকান, কিবা ফুসকার দোকান বসিয়ে পার্কের জমি দখল করে কেউ কেউ ব্যবসা করছে। দোকানগুলো থাকায় উঠতি বয়সীদের গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা চলে, যেখানে বসে অশ্লীল কথা বার্তা হয়। নেশা দ্রব্যের ব্যবহার চলে, কখন ও ছিনতাইয়ের মত ঘটনা ঘঠে। সন্ধ্যার পর অনেক পার্কে পযাপ্ত লাইট না থাকায় অনেক সময় অনৈতিক কার্যকলাপের পার্কের পরিবেশ আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। যেন অপরাধী দের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়। যেখানে কোনো ভদ্রলোকের ওই পার্ক ব্যবহার করার মত অবস্থা থাকে না। 
বক্তারা বলেন, দিনের বেলায় শহিদ হাদিস পার্ক যেখানে দেখা যায়, ভব ঘুরেরা বেঞ্চ দখল করে ঘুমাচ্ছে। পার্কের চারিদিক ও গেটের সাথে দোকান গুলি থাকায় অনেক সময় ছোট ছোট বাচ্চারা বেরিয়ে দোকানে যেতে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। গোলক মনি শিশু পার্কের লোহার গ্রীল ভেঙে চা, পান, সিগারেটের দোকান বসানো হয়েছে। চতুর্দিকে ময়লা আবর্জনা ভরা। বাউন্ডারি ওয়াল ভাঙা, অস্বাস্থ্য কর পরিবেশ। অপর দিকে জাতি সঙ্গ শিশু পার্ক যেখানে বাচ্চাদের দোলনা নষ্ট হয়ে ছিড়ে পড়ে আছে এবং পার্কের ভেতর চটপটির দোকান বসানো হয়েছে। মনে হয় চটপটি বিক্রির জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। 
সভায় বক্তারা বলেন, নগরীর শের এ বাংলা রোড সোলায়নগর সামনে পার্ক না হলেও পার্কের মত ব্যবহার হলেও এখন সেখানে ঘুপচি ঘর বসিয়ে পান, চা বিক্রি করা হচ্ছে। সন্ধ্যার পর বেশ আড্ডা, কেউ যায়গা দখল করে জমজমাট চুলার দোকন বসিয়ে মাটির চুলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। যেন দেখার কেহ নেই। নিরালা আবাসিক এলাকার পার্কটি অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে। তিন দিকে সাইডে ওয়াল ভাঙা, দোলনা ছিড়ে পড়ে আছে, মাঠে পানি, বাচ্চারা দোলনায় উঠতে পারছে না, পার্কের গেটের সাথে চটপটি ফুচকার দোকান, কোনায় কোনায় ঘুপচি ঘরে দোকান পাট চলছে দেদারছে। গল­ামারী লিনিয়ার পার্ক যার সামনে ব্যপক ঘিঞ্জি পরিবেশ, খেলাধুলার সরঞ্জামের মধ্যে বসার বেঞ্চ, দোলনা, কৃত্রিম ঘোড়া, নাগর দোলা থাকলেও তার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশাক্ত দূষিত ময়ূর নদের ময়লা পানির দুগন্ধে পার্কটির পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি  হচ্ছে। 
সভায় অনতি বিলম্বে পার্ক দখল করে যারা ব্যবসা করছে তা বন্ধ, পার্কের ভিতর যাতে কোনো অবৈধ কাজ না চলে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। 
দাবি জানানো হয়, পার্ক গুলি রক্ষণাবেক্ষণ সুচারুপে দায়িত্ব পালনের ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রত্যেক পার্ক পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্ক গুলির সীমানা প্রাচীরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং গেট গ্রীল লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। পার্কে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত খেলাধুলা ব্যবস্থা করতে হবে, বড়দের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। পার্ক কে পার্কের মত ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে দিতে হবে। ময়ূর নদকে দূষিত মুক্ত করে পার্কে বসার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সভায় বক্তৃতা করেন, ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, মোঃ সিরাজ উদ্দিন সেন্টু, এড. কাজি আমিনুল ইসলাম মিঠু, মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, শেখ মোহাম্মদ আলী, এম এ জলিল, মোঃ কামরুল ইসলাম ভুট্টো মোঃ সাকিল আহমেদ রাজা, মোঃ খায়রুল আলম, আঃ মান্নান মুন্নাফ, মোঃ জয়নাল আবেদিন, ডাঃ মাহ্ফিজুর রহমান বাচ্চু মোঃ জাভেদ আক্তার মোঃ তারেক রহমান, লিটন মিত্র, মোঃ মামুন অর রশিদ, মোঃ মাসুদ হোসেন মোঃ রেজওয়ান মোঃ আবু বক্কার, মোঃ আজমল হোসেন প্রমুখ।

 

্রিন্ট

আরও সংবদ