খুলনা | রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২

আইসিসির নতুন সিদ্ধান্তে কপাল পুড়ছে ভারতের!

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০৫:২৫ পি.এম | ১৪ জুন ২০২৫


ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালের চতুর্থ দিনে ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় থেকে মাত্র ৩০ রান দূরে প্রোটিয়ারা। ২৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এখন পর্যন্ত তাদের স্কোর ২৫৫/৪। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন আইডেন মার্করাম, সঙ্গে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছে দলটিকে।

ইংল্যান্ডের মাটিতে এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো হচ্ছে ডব্লিউটিসি ফাইনাল। ২০২১ সালে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড, ২০২৩-এ অস্ট্রেলিয়া। দুইবারই ফাইনালে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে ভারত। এবার যদি চতুর্থ দিনে কাজটা শেষ করে ফেলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা, তাহলে প্রথমবারের মতো ট্রফি উঠবে তাদের হাতেই।

তবে এই ইংল্যান্ডের বাইরে ফাইনাল আয়োজনের দাবি উঠলেও, বাস্তবে তা বদলানোর কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদন। সাবেক ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ইংল্যান্ডের বাইরে ফাইনাল আয়োজনের পক্ষে মত দিলেও, আইসিসি ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) জানিয়েছে- আগামী তিন আসরেও তারা ইংল্যান্ডকেই ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে রাখতে চায়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের আয়োজক হওয়ার আগ্রহ থাকলেও, ইংল্যান্ডের সাথেই আগামী তিন আসরের জন্য চূড়ান্ত আলোচনা প্রায় শেষ। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া ডব্লিউটিসির প্রতিটি ফাইনালই জুনে ইংল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আগেও একাধিকবার ডব্লিউটিসি ফাইনাল ভারতে আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আইসিসির স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষেই সিদ্ধান্ত যাচ্ছে। আগামী তিন আসরের ফাইনাল- ২০২৭, ২০২৯ এবং ২০৩১, সবই ইংল্যান্ডেই অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে আইসিসির আগামী জুলাই মাসের বার্ষিক সম্মেলনে, যা হবে সিঙ্গাপুরে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে ইংল্যান্ডকে আগামী তিন আসরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে সেই সম্মেলনেই। আর বর্তমান ফাইনাল (অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা) শেষ হলেই ২০২৭ আসরের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করে দেবে ইসিবি।

তবে মজার বিষয় হলো, প্রথম তিন আসরের ফাইনাল ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত হলেও একবারও ফাইনালে উঠতে পারেনি স্বাগতিক ইংল্যান্ড!

্রিন্ট

আরও সংবদ