খুলনা | রবিবার | ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করলো জর্ডান সেনাবাহিনী

‘মধ্যপ্রাচ্যে এক দেশের গাদ্দারি থামছেই না’

খবর প্রতিবেদন |
০১:৫৫ এ.এম | ১৫ জুন ২০২৫


কখনো ফিলিস্তিনে ত্রাণ যাওয়া পরিবহন থেকে বেশি টাকা নিচ্ছে, কখনো ইসরায়েলকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করছে মধ্যপ্রাচ্যর এক দেশ। এরই মধ্যে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য নিজেদের আকাশ খুলে দিয়েছে জর্ডান। ইসরায়েলকে প্রতিনিয়ত ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়া আকাশসীমা পুনরায় চালু করেছে জর্ডান। শনিবার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে শুক্রবার ভোর রাতে ইরানে ভয়াবহ একাধিক হামলা চালায় ইসরায়েল। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান যেন পাল্টা হামলা চালাতে না পারে সেজন্য ইসরায়েলের এক পাশ ঘিরে রাখা জর্ডান তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দেয়। যা সরাসরি ইসরায়েলকে সহায়তা করে। এখন ইসরায়েলের দরকার পড়েছে আবার জর্ডান তাদের আকাশপথ খুলে দিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, দেশটির সিভিল এভিয়েশন কমিশন জানিয়েছে, শনিবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় (জিএমটি ০৫:৩০) থেকে আকাশসীমা আবার বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন), ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। জর্ডানও এই পদক্ষেপ নিয়েছিল, কারণ ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের কারণে আকাশসীমায় নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছিল।
জর্ডানের সরকারি মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-মোমানি পূর্বে বলেন, ‘আমরা আমাদের আকাশসীমায় কোনো ধরনের লঙ্ঘন মেনে নেব না এবং এটি কোনো সংঘর্ষের ক্ষেত্র হবে না।’ জর্ডান তার নিরপেক্ষ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বলেছে যে, তারা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো ধরনের আকাশসীমা লঙ্ঘন মেনে নেবে না। দেশটি তার আকাশসীমা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে।
জর্ডান তার আকাশসীমা পুনরায় চালু করে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। দেশটি তার নিরপেক্ষ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বলেছে যে, তারা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো ধরনের আকাশসীমা লঙ্ঘন মেনে নেবে না। এটি মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করলো জর্ডান সেনাবাহিনী : ইসরায়েলের বিমান হামলার পাল্টা জবাবে ইরান যখন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছিল, ঠিক সেই সময় কয়েকটি ড্রোন জর্ডানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং ‘কোনো রকম আশঙ্কা’ থেকে এসব ড্রোনকে ভূপাতিত করে।
জর্ডান সেনাবাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, এসব ড্রোন জর্ডানের জনবহুল এলাকায় পড়ে হতাহত ঘটাতে পারত। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। বাহিনী জানায়, জর্ডানের স্থল, জল ও আকাশসীমা রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং কোনো ভাবেই আমাদের সীমা লঙ্ঘন বরদাশত করা হবে না। নাগরিকদের গুজব না ছড়ানোর আহŸানও জানায় সেনাবাহিনী।
জর্ডানের সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানি ড্রোনগুলো জর্ডানীয় আকাশসীমায় ঢোকার মুহূর্তেই বিপদ সংকেত বাজতে শুরু করে। সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

্রিন্ট

আরও সংবদ